সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। আরএসএসের প্রস্তাব উড়িয়ে সংসদে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেছেন, এ নিয়ে সভা-সমিতিতে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক চলতেই পারে। কিন্তু সরকারিভাবে সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানোর পরিকল্পনা হয়নি। কোনওরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনায় যুক্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে, ‘জরুরি অবস্থা’র সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে, ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। সংঘের তরফে এই শব্দগুলিকে ‘ভারতীয় সংস্কৃতি-বিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়, বা ‘ইন্দিরা গান্ধীর চাপিয়ে দেওয়া বিদেশি ধারণা’ বলে দাগানো হয় তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এরপর ১৯৭৭ সালে যখন জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসে, যার মধ্যে আরএসএস-ঘনিষ্ঠ নেতারাও ছিলেন, তাঁরা অন্যান্য বহু সংশোধন বাতিল করলেও এই দু’টি শব্দ বজায় রেখেছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় থাকা ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি নিয়ে ফের আপত্তি জানিয়েছে আরএসএস। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাধারণ সম্পাদক, দত্তাত্রেয় হোসাবলে, প্রকাশ্যে এই শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। পরে কেন্দ্রে একাধিক নেতামন্ত্রীও শব্দদুটি বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু মোদি সরকার জানাল, ওই দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমন রাজ্যসভায় আইনমন্ত্রককে লিখিত প্রশ্ন করে জানতে চান, সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানোর কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা। সেই প্রশ্নের জবাবেই আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানিয়েছেন, সরকারি স্তরে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব এখনও আসেনি। বা সরকারের তরফে কোনও পরিকপ্লনাও করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.