বিধানসভায় যোগী আদিত্যনাথ।
হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ইংরেজি বনাম উর্দু দ্বন্দ্বে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা। ভাষা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে তুলোধোনা যোগী আদিত্যনাথের। কড়া সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উর্দু পড়িয়ে শিশুদের মৌলবী বানাতে চায় সমাজবাদী পার্টি। অথচ এরা নিজের সন্তানদের ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করে।’ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় দুই ভাষাকে কেন্দ্র করে এমন বেনজির দ্বন্দ্ব রীতিমতো চর্চায় উঠে এসেছে।
বিধানসভার আলোচনা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার ‘ফ্লোর ল্যাঙ্গুয়েজ’-এ ইংরেজি ভাষাকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে যোগী সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হন বিরোধী দলনেতা তথা সপা বিধায়ক মাতা প্রসাদ পান্ডেয়। তিনি দাবি করেন, “ইংরেজির পরিবর্তে এখানে উর্দু ভাষাকে যুক্ত করা হোক। উর্দু আমাদের দ্বিতীয় ভাষা। সরকার ইংরেজি চাপিয়ে দিচ্ছে আমাদের উপর। অনেক লড়াইয়ের পর ইংরেজকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি আমরা। সেই ইংরেজি ভাষা ফিরিয়ে আনার কোনও মানে হয় না।” বিরোধী দলনেতার এহেন মন্তব্যের পরই সপাকে কার্যত তুলোধোনা করেন যোগী আদিত্যনাথ।
আঞ্চলিক ভাষাকে সামনের সারিতে তুলে আনতে সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরে যোগী বলেন, “আমাদের সরকার ভোজপুরি, অবধি, ব্রজবুলি ও বুন্দেলখণ্ডি ভাষাকে উৎসাহ দিতে আলাদা আলাদা অ্যাকাডেমি তৈরি করেছি। যাতে শিশুরা নিজের মাতৃভাষাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। হিন্দির এই উপভাষাগুলিকে বিধানসভাতেও মান্যতা দিয়েছি আমরা। তবে বিরোধী শিবির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। ওদের এই বিরোধিতা প্রমাণ করে, এরা শুধু উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের সংস্কৃতির বিরোধী। এরা নিজেদের সন্তানকে ইংরেজি স্কুলে পড়াবে তবে অন্যের সন্তানদের জন্য যদি সরকার সেই সুবিধার ব্যবস্থা করে তবে তার বিরোধিতা করে। এরা বলে ইংরেজি নয়, সন্তানদের উর্দু পড়াও। অর্থাৎ এরা শিশুদের মৌলবি তৈরি করতে চায়। এই দেশকে কট্টর মৌলবাদের পথে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু সেটা আর হবে না।”
समाजवादियों का चरित्र दोहरा हो चुका है,
ये अपने बच्चों को पढ़ाएंगे इंग्लिश स्कूल में और दूसरों के बच्चों के लिए कहेंगे उर्दू पढ़ाओ…
उसको मौलवी बनाना चाहते हैं, ‘कठमुल्लापन’ की ओर देश को ले जाना चाहते हैं,
ये नहीं चल सकता है…
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath)
অবধি, ব্রজবুলি ভাষার প্রশংসা করে যোগী বলেন, “ব্রজভাষা এতটাই সমৃদ্ধ যে সন্ত সুরদাস তাঁর সমস্ত রচনা এই ভাষাতে করেছেন। সন্ত তুলসি দাস অবধি ভাষায় ‘রামচরিত মানস’ রচনা করেছেন। যে রচনা শুধু উত্তর ভারত নয়, গোটা ভারতকে পথ দেখায়। যারা এই ভাষার বিরোধিতা করে তাঁরা আসলে দেশের সংস্কৃতির বিরোধী।” সপাকে তোপ দেগে যোগীর আরও দাবি, “ভালো কিছু হলে তার বিরোধিতা করা সমাজবাদী পার্টির স্বভাবে পরিণত হয়েছে। সপার এই দ্বিমুখী চরিত্র বুঝতে জনতার আর বাকি নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.