Advertisement
Advertisement
Yogi Adityanath

যোগীরাজ্যে শিল্প বিপ্লব! ২৭ হাজার কারখানা নিয়ে দেশের চতুর্থ শিল্পরাজ্য উত্তরপ্রদেশ

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশে রেকর্ড ৪,০০০ নতুন সংখ্যক কারখানা চালু হয়েছে।

UP's Industrial Scene Transformed Under Yogi Adityanath's Government
Published by: Hemant Maithil
  • Posted:October 14, 2025 7:39 pm
  • Updated:October 14, 2025 7:39 pm   

হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশকে একসময় বেকারত্ব আর পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে দেখা হত। কিন্তু সেই ছবিটা এখন পুরোপুরি পালটে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দূরদর্শী নেতৃত্বে, রাজ্যটি শিল্প উন্নয়নে দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে, যা আজ গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছে।

Advertisement

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশে রেকর্ড ৪,০০০ নতুন কারখানা চালু হয়েছে। এর ফলে মোট কারখানার সংখ্যা ২৭,০০০ ছাড়িয়ে গেল। এটা শুধু একটা পরিসংখ্যান নয়। বরং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ। গত সাড়ে আট বছরে যোগী সরকার এমন একটি শক্তিশালী শিল্প পরিবেশ তৈরি করেছে যা বিনিয়োগকারীদের শুধু আকর্ষণই করেনি, সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি আস্থা অর্জন করেছে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া এখন অনেক স্বচ্ছ, কার্যকর ও বিনিয়োগবান্ধব। উত্তরপ্রদেশ এখন দেশের ‘নতুন বিনিয়োগ কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

নতুন কারখানাগুলি ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, প্রতিরক্ষা উৎপাদন, অটোমোবাইল, রাসায়নিক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত জুড়ে বিস্তৃত।

২০০৩ সালে রাজ্যে কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৮,৯৮০টি। সেটা বেড়ে ২০২২ সালে দাঁড়ায় ১৭,৪৮১ এবং ২০২৩ সালে তা ১৯,১০০ ছাড়িয়ে যায়। এই সংখ্যাটি ২০২৫ সালে ২৭,০০০-এ পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি শুধু সংখ্যায় নয়, এটি রাজ্যের শিল্প মানচিত্রের কাঠামোতেও পরিবর্তন এনেছে। বিনিয়োগ এখন শুধু নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা বা লখনউতেই আটকে নেই। তা কানপুর, বরেলি, ঝাঁসি, গোরক্ষপুর, আজমগড় এবং প্রয়াগরাজের মতো শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২৩-২৪ সালের ASI রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের শীর্ষ ১৫টি শিল্প প্রধান রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের স্থান ৪র্থ। সেই সময়ে রাজ্যে ২২,১৪১টি কারখানা চালু ছিল, যা দেশের মোট কারখানার ৮.৫%। এই ইউনিটগুলিতে ১২.৮০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন। রাজ্যের কারখানার বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১৬% এবং কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮%।

সরকার শুধু শহুরে শিল্প উন্নয়ন নয়, গ্রামীণ শিল্পায়নেও জোর দিচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং স্থানীয় কারিগরদের জন্য অনুদান, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মতো সুবিধা চালু করা হয়েছে। আজ উত্তরপ্রদেশের অনেক গ্রামীণ এলাকার ছোট শিল্পগুলি আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তি মজবুত করছে। উত্তরপ্রদেশের শিল্প কাহিনি তাই শুধু বৃদ্ধির নয়, বিশ্বাস, স্বচ্ছতা ও রূপান্তরেরও কাহিনি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ