সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির মূল ধারায় জায়গা নেই ‘শহুরে নকশাল’ বা অতিবামদের! অতি বাম মনস্কদের দমন করতে আলাদা করে বিল পাশ করাল মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি, শহুরে অতি বামপন্থীরা শিক্ষা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম-সহ নাগরিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থান করে নকশালদের মতবাদকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উগ্র নকশালপন্থাকে সমূলে দমন করার জন্য শহুরে নকশালদেরও দমন করা দরকার।
শুক্রবারই মহারাষ্ট্র বিশেষ জন সুরক্ষা বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে। এবার বিধান পরিষদের গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যপালের ছাড়পত্র পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। বিলটি বিধানসভায় পেশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলছেন, “কিছু মানুষ নকশালবাদকে জঙ্গলের গণ্ডি পেরিয়ে শহুরে নগরজীবনে ঢুকিয়ে দিতে চায়। রাজ্যে এই ধরনের ৬৪টি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে গোটা চারেক সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সংগঠনগুলি কাজ করছে।” উদ্বেগের সুরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমাদের রাজ্য নকশালবাদের স্বর্গ হয়ে উঠছে।”
বিল পেশ করার পর বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর একটি বিজ্ঞপ্তির উদাহরণও তুলে ধরেন ফড়ণবিস। তিনি বলেন, “বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও এই শহুরে নকশালদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এই আইনে বামপন্থীদের কোনওরকমভাবে নিশানা করা হবে না। সিপিএম বা সিপিআই সমর্থকদের এতে কোনও সমস্যা হবে না।”
বামপন্থীরা মনে করছে, এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে যে কোনও বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই ‘শহুরে নকশাল’ তকমা সাঁটিয়ে জেলে ভরে দেওয়া হবে। সরকারের বিরোধিতা করলেই জুটবে ‘নকশাল’ তকমা। এর ফলে শহুরে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে দেওয়া হবে দেশ বিরোধী বলে। তবে, সরকারপক্ষের দাবি, এই আইনের কোনও অপব্যবহার হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.