Advertisement
Advertisement
Asaduddin Owaisi

‘বিজেপির হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার কাজ সহজ করে দিচ্ছেন ওয়েইসি’, বিস্ফোরক বিখ্যাত উর্দু কবি

মুনব্বর রানার দাবি, বিজেপিকে সাহায্য করতে সর্বত্র ছুটে যাবে ওয়েইসির দল।

Urdu poet Munawwar Rana flays Asaduddin Owaisi for helping BJP win Bihar Assembly polls | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 13, 2020 10:53 am
  • Updated:November 13, 2020 10:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) আসলে কাজ করছেন বিজেপির (BJP) ‘বি’ টিম হয়ে। বিজেপিকে জেতাতে সর্বত্র ছুটে যাবেন তিনি। পরোক্ষে মদত দেবেন হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার প্রক্রিয়াতে । বিহারে তিনিই জিততে সাহায্য করছেন গেরুয়া শিবিরকে। এভাবেই ওয়েইসিকে কাঠগড়ায় তুললেন বিখ্যাত উর্দু কবি মুনব্বর রানা।

Advertisement

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মেজাজে দেখা গেল তাঁকে। ওয়েইসির বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওয়েইসি মুসলিমদের পক্ষে কথা বললেও তাঁর দল বিজেপিকে ২২টি আসনে জিততে সাহায্য করেছে বিহারে (Bihar Election 2020)। এর মধ্যে এমন ১১টি আসন রয়েছে, যেখানে আরজেডি ও কংগ্রেস সামান্য ব্যবধানে হেরেছে।’’ কেবল বিহার নয়, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও একইভাবে বিজেপিকে সাহায্য করবেন তিনি। একথা জানিয়ে রানা বলেন, ‘‘উনি মহাজোটের হারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একই কৌশল তিনি নেবেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও। ওয়েইসি বিজেপিকে জেতাতে সর্বত্র ছুটে যাবেন। ওদের হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেবেন।’’ উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনেও ওয়েইসি একই ভূমিকা পালন করবেন বলে দাবি করেন রানা।

[আরও পড়ুন: এস-৪০০ মিসাইল চুক্তির জের, ফাটল ধরছে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে]

মুখে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করলেও তাঁর দলের কারণেই যে বিজেপি বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে, তা ওয়েইসিও ভাল করেই জানেন বলেও দাবি করেন রানা। এমনকী, তিনি খোঁচা দিয়ে এও বলেন, ‘‘ওঁর বাবার কিছুই ছিল না। এখন ওঁরা ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিক!’’ কেবল আসাদউদ্দিন নন, তাঁর বাবা ও ভাইকেও কটাক্ষ করেন রানা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুরু থেকেই ওয়েইসিকে পছন্দ করি না। ওঁর বাবাও এরকমই ছিল। আর ওঁর ভাইকে হিন্দুদের থেকেও বেশি ঘৃণা করেন মুসলিমরা।’’

প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এনডিএ ও বিরোধী মহাজোটের মধ্যে। এই দুই প্রধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে এআইএমআইএম। আগে থেকেই মনে করা হয়েছিল, তারা যে কোনও ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে ভোট কেটে। ফলপ্রকাশের পরে তেমনটাই হতে দেখা গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই স্বল্প ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে। এআইএমআইএম-এর উপস্থিতি সেখানে দারুণ প্রভাব ফেলেছে। 

[আরও পড়ুন: লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরাতে নবনির্মিত সামরিক পরিকাঠামো সরাতে রাজি ভারত-চিন]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement