‘ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ছড়ালে হতে পারে যাবজ্জীবন’, অর্ডিন্যান্স আনছে উত্তরপ্রদেশ সরকার

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুখতে বেনজির পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশ সরকারের। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ছড়ালে তাঁর কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে অর্ডিন্যান্স (Uttar Pradesh Public Health and Epidemic Disease Control Ordinance, 2020) আনল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। যে অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়ালে তাঁর সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সেই সঙ্গে গুণতে হবে মোটা অংকের জরিমানা।

এই অর্ডিন্যান্সটিতে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভা। এখন শুধু রাজ্যপাল সই করলেই এটি আইনে পরিণত হবে। অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোনও ব্যাক্তির শরীরে সংক্রমক ব্যাধি ছড়ালে তার ২-৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। শাস্তি আরও বেশি হবে পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটালে। আর এই সংক্রমণের ফলে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে অন্তত সাত বছরের জেল। সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে ৩-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। উদাহরণ হিসেবে রাজ্যের মুখ্যসচিব আর কে তিওয়ারি বলছেন, ধরুন কোনও সংক্রমিত ব্যাক্তি গণপরিবহণের মাধ্যমে যাত্রা করল, সেক্ষেত্রে তার ১ থেকে ২ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। তাঁর থেকে কারও সংক্রমণ হলে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হবে।

[আরও পড়ুন: ‘করোনা সংকটের গুরুত্ব অনেক আগে বুঝেছেন’, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমর্ত্য সেন]

এই নতুন অর্ডিন্যান্সে চিকিৎসক ও চিকিতসাকর্মীদের নিরাপত্তার দিকটা বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ বছরের জেল এবং ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। কেউ কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙলে তাঁর ১ থেকে ৩ বছরের জেল এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলে জেল হতে পারে ১ থেকে ২ বছরের। এক্ষেত্রেও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আসলে করোনা রুখতে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করতে চাইছে না সরকার। সেজন্যই অসচেতন নাগরিকদের কড়া দাওয়াই দেওয়ার নিয়ম আনতে চলেছে তারা।