Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

ভুয়া দূতাবাস কাণ্ডে ৩০০ কোটির কেলেঙ্কারি, তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গাজিয়াবাদে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন হর্ষবর্ধন।

Uttar Pradesh's Fake Embassy Probe Reveals Big Secrets
Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:July 28, 2025 6:26 pm
  • Updated:July 28, 2025 6:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট বছর ধরে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া গাজিয়াবাদের হর্ষবর্ধন জৈনের মামলার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরা করে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হর্ষ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। শুধু তা-ই নয়, গত ১০ বছরে ১৬২ বার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন ভুয়া কূটনীতিক। প্রসঙ্গত, গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে বেশ কয়েকটি দেশের ভুয়া দূতাবাস তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগে গত বুধবার গ্রেফতার হন হর্ষ। সেই ঘটনার তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূয়া দূতাবাসের আড়ালে চাকরিচক্র চালাতেন হর্ষ। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করতেন বিদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন হর্ষ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আন্টার্কটিকা মহাদেশে একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ড ‘ওয়েস্টার্কটিকা’। কোনও প্রতিষ্ঠিত দেশ ওয়েস্টার্কটিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি। যদিও সেই ওয়েস্টার্কটিকার নামে ভুয়া দূতাবাস চালানোর অভিযোগেই গ্রেপ্তার হলেন হর্ষ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় জাল প্যান কার্ড, কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং ৪৪ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানায়, গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকার একটি বাড়িকে ওয়েস্টার্কটিকার দূতাবাস বলে চালাতেন নকল ‘রাষ্ট্রদূত’ হর্ষ। নিজেকে কূটনীতিক হিসাবে পরিচয় দিতেন তিনি। তাঁর নকল দূতবাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। সেগুলির নম্বরপ্লেটও ছিল কূটনীতিকের গাড়ির মতোই। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, শুধু ওয়েস্টার্কটিকা নয়, এছাড়াও সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডোনিয়ার মতো ছোট ছোট দেশের ‘রাষ্ট্রদূত’ বলেও নিজেকে পরিচয় দিতেন হর্ষ।

ওই দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ১২টি কূটনৈতিক পাসপোর্ট, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের জাল নথি, দুটি জাল প্যান কার্ড, বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির ৩৪টি রবার স্ট্যাম্প, দু’টি জাল প্রেস আইডি কার্ড এবং সাড়ে ৪৪ লক্ষ টাকা নগদ। তদন্তকারীদের ধারণা, কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হর্ষ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement