বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজস্থানে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতেই বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জয় আসার পর সব হিসেব উলটে দেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। কার্যত সকলকে চমকে দিয়ে অনামী ভজনলাল শর্মা। তারপর থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়ান বসুন্ধরা। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভগবত রাজ্যে যেতেই সক্রিয় হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেশ কিছুক্ষণ একান্তে ভগবতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের খবর প্রকাশ হতেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার থেকে রাজস্থানের যোধপুরে শুরু হচ্ছে আরএসএসের সমন্বয় বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোধপুরে এসেছেন সংঘের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগেই জয়সলমেঢ়ে লালসাগর এলাকার আদর্শ বিদ্যামন্দিরে হাজির হয়ে ভগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বসুন্ধরা। তাঁদের মধ্যে প্রায় কুড়ি মিনিট একান্তে কথা হয়। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মরুরাজ্যের রাজনীতিতে। বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয় তা সঠিক জানা যায়নি। কারণ সেই সময় ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে বসুন্ধরা ভগবতের সঙ্গে বৈঠক করেন। এঁরা হলেন, প্রাক্তন জেলা সভাপতি ভোপাল সিং বাদলা, প্রাক্তন রাজসিকো চেয়ারম্যান মেঘরাজ লোহিয়া, ঘনশ্যাম বৈষ্ণব।
সম্প্রতি, বসুন্ধরার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি জানান, এখন তিনি রাজনৈতিক নির্বাসনে রয়েছেন। তবে এই নির্বাসন আমৃত্যু নয়। অনেকেরই এরকম সময় আসে। কিন্তু সেইসময় সংযত থাকতে হয়। তবে তাঁদের দু’জনের বৈঠকের পর মরুরাজ্যের গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিতে নয়া মোড় আসতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাচক্রে এই ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একেবারেই জনপ্রিয় নন। তাঁর আমলে রাজস্থানে একাধিক বিতর্কও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বসুন্ধরা ভাগবত বৈঠকে জল্পনা বাড়ছে।
জল্পনা অবশ্য আরও রয়েছে, বিজেপির পরবর্তী সভাপতির নাম এখনও ঘোষিত হয়নি। শোনা যাচ্ছে সংঘ এবং বিজেপি একমত হতে না পারায় সভাপতির নাম ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই ‘মোদি বিরোধী’ বসুন্ধরার সঙ্গে ভাগবতের বৈঠকে জল্পনা বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.