Advertisement
Advertisement
Pragya Thakur

মালেগাঁও কাণ্ডে মোদির নাম জড়ানোর চেষ্টা! বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের

মামলায় যোগী, মোহন ভাগবতদের জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল বলেও দাবি।

Was coerced to take PM Modi's name, Pragya Thakur on Malegaon case

ফাইল ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 2, 2025 5:24 pm
  • Updated:August 2, 2025 5:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের নাম জড়ানোর চেষ্টা! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন একটা সময় এই মামলায় নাম জড়ানো প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের। তাঁর দাবি, ওই বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তদন্তকারীরা তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করেন এই মামলায় নরেন্দ্র মোদি, যোগী আদিত্যনাথ, মোহন ভাগবতদের নাম নেওয়ার জন্য।

Advertisement

তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে শনিবার প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, “সেই সময় রাম মাধব-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের নাম এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। ফুসফুসের সমস্যার জেরে আমাকে তখন হাসপাতালে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না। যেহেতু আমি গুজরাটের বাসিন্দা ছিলাম, তাই এই মামলায় নরেন্দ্র মোদির নাম জড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমাকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়। তবে আমি কারও নাম নেইনি।” শুধু তাই নয় প্রজ্ঞা আরও দাবি করেছেন, এই মামলায় শুধু মোদি নন, নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত-সহ আরএসএসের ৪ শীর্ষ নেতার। এমনকী আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের নামও এই তালিকায় ছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে প্রাক্তন অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS) সদস্য মেহবুব মুজওয়ারও একই রকম দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তদন্তকারী দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে RSS প্রধান মোহন ভাগবতকে গ্রেপ্তার করতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। গত শুক্রবার মুজওয়ার আরও দাবি করেন, এর পিছনে উদ্দেশ্য ছিল তদন্তকে ভুল পথে চালিত করা এবং মামলাটিকেকে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদের মামলা হিসেবে দেখানো।

২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে ভয়ংকর বিস্ফোরণে হয়। ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন একশোর বেশি। তদন্তে উঠে আসে, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরবাইক দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার (এটিএস) প্রাথমিকভাবে জানায়, বিস্ফোরণের নেপথ্যে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যে মোটরবাইকে বোমা রাখা ছিল সেটা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নথিভুক্ত ছিল। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হন সাত অভিযুক্ত। প্রজ্ঞা ঠাকুরও বাদ যাননি। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৫ জনকে বেকসুর খালাস করেছে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। এরপর এই ইস্যুতে ফের তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রজ্ঞা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement