সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ইস্যুতে সপ্তমে নবান্ন বনাম কমিশন সংঘাত। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে ডেকে ‘প্রবল চাপ’ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লিতে কমিশনের দপ্তরে পৌঁছন মনোজ পন্থ। ঘণ্টাখানেকের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, কমিশনের নির্দেশের পর ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেন তিনি। পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যন্ত ওই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন মুখ্যসচিব।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উঠে এসেছে আইনি এক্তিয়ার প্রসঙ্গও। বিহারের মতো দেশের প্রতিটি রাজ্যে SIR বাস্তবায়িত করতে কমিশন যে বদ্ধপরিকর তা-ও নাকি বলা হয় মুখ্যসচিবকে। বলে রাখা ভালো, সুপ্রিম কোর্টে বিহারের SIR মামলার শুনানিতে বাংলার আইনজীবী প্রশ্ন করেন, সত্যি কি রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে SIR চালু করা সম্ভব। বেশ কিছুটা সময় দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণে কারচুপির অভিযোগ ওঠে ৪ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন বারুইপুর পূর্ব (১৩৭) বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, সহকারী এইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার। এই ৪ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে জানান, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড ও এফআইআর করা হবে না। তাঁদের মধ্যে দু’জন যথাক্রমে বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার ও ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাসকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, মনোবল ভেঙে যাবে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের পরই কড়া পদক্ষেপ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ই-মেল মারফত বুধবার বিকেল ৫ টায় মুখ্যসচিবকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডাকা হয়। সেইমতো এদিন ডেডলাইন শেষের প্রায় ৩০ মিনিট আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পৌঁছন মনোজ পন্থ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.