সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ডিএ নিয়ে শীর্ষ আদালতে নিজেদের চূড়ান্ত বক্তব্য জানাল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল হলফনামা পেশ করেন। তাতে মূলত উল্লেখ রয়েছে, বাংলার মতো আরও কোন কোন রাজ্য উপভোক্তা মূল্য সূচক মেনে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ দেয় না। সেই ১০টি রাজ্যের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল মনুভাই পাঞ্চোলি হাতে। আবারও কপিল সিব্বল দাবি করেছেন, ডিএ সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। এই মামলায় মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রায়দান। সেই দিনক্ষণ অবশ্য এখনও জানানো হয়নি।
কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই হারে ডিএ দেওয়ার দাবি রাজ্য সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের। এনিয়ে জল গড়ায় শীর্ষ আদালতেও। রাজ্যকে আগেই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর জন্য ৬ সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারেনি। রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন জানায়। রাজ্যের যুক্তি ছিল, মহার্ঘভাতা বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তাছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয়, তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না।
অন্যদিকে মামলাকারীদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যেই পড়ে। ইচ্ছেমতো হারে মহার্ঘভাতা দেওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া মহার্ঘভাতা কিস্তিতে দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি শেষ হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতিরা। শুনানির পরও কোনও পক্ষের বক্তব্য থাকলে, তা লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার রাজ্য সরকার লিখিত আকারে চূড়ান্ত বক্তব্য জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.