ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সরকারি কর্মীদের বকেয়া ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে আরও ৬ মাস সময় চাইল রাজ্য সরকার। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে ৬ মাস আরও অতিরিক্ত সময় লাগবে। পাশপাশি রাজ্য সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে, যেহেতু আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখা হোক।
গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বারবার এই যুক্তি দেখান, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তাতে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ছিল, তা না হলেও দিনের পর দিন টাকা এভাবে আটকে রাখা যায় না। তাই ন্যূনতমটুকু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিয়ে দিতেই হবে। শীর্ষ আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরলেও এখনও মহার্ঘভাতা হাতে পাননি সরকারি কর্মীরা। তাই শুক্রবার জনৈক সরকারি কর্মীর হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
এদিকে, রাজ্য সরকারও এদিন শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ডিএ সংক্রান্ত নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার। কারণ, বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। সেইসঙ্গে রাজ্য এও জানায়, যেহেতু আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখা হোক। কারণ কর্মচারীদের এই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে, পরবর্তী সময়ে যদি এই নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে যায়, তাহলে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এই মুহূর্তে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩৫ শতাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.