সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার আহমেদাবাদের একটি স্কুলে (Ahmedabad School) দশম শ্রেণির ছাত্রকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একই স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া। ওই ঘটনার তদন্তে পুলিশের হাতে এসেছে অভিযুক্তের কিশোরের সঙ্গে এক সহপাঠীর হাড়হিম করা হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন। যেখানে খুনের কথা স্বীকার করেছে কিশোর। এমনকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিন্দুমাত্র অফসোস নেই তার। ‘প্রাণে মারা উচিত হয়নি’, বন্ধুর এই মন্তব্যের উত্তরে অভিযুক্ত বলে, জো হু সো হুয়া (যা হয়েছে, তা হয়েছে)। ওই বিষয়ে আর ভাবতে রাজি নয় কিশোর।
পুলিশের হাতে আসা অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। বন্ধু প্রশ্ন করে, ‘ভাই, তুই কি আজ কিছু করেছিস?’ উত্তরে লোকানোর চেষ্টা না করে দশম শ্রেণির ছাত্রকে ছুরি দিয়ে কোপানোর কথা স্বীকার করে কিশোর। বরং প্রশ্ন করে, ‘কে তোকে জানাল?’ এরপর বন্ধুটি খবর দেয়, আহত দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তখনই ‘গর্বে’র সঙ্গে সেই যে খুন করেছে তা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত কিশোর। যারপর বন্ধুটি জানতে চায়, ‘ঠিক কী ঘটেছিল?’
অভিযুক্ত কিশোর জানায়, ‘ও (মৃত দশম শ্রেণির ছাত্র) আমাকে বলেছিল তুই কে? তুই আমার কী করবি?’ পালটা বন্ধু বলে, ‘এর জন্য কাউকে কুপিয়ে খুন করা যায় না। বড়জোর মারধর করতে পারতিস।’ অভিযুক্ত কিশোরের উত্তর, ‘জো হু সো হুয়া’ (যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে)। নবম শ্রেণির ছাত্রের এই শিতল মস্তিষ্কের কথোপকথনে অবাক তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
আহমেদাবাদ সেভেনথ ডে অ্যাক্টিভিস্ট স্কুলে ছাত্র খুনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মৃত কিশোরের নাম নয়ন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। খুনে অভিযুক্ত কিশোর মুসলিম সম্প্রদায়ের। বুধবার সকালে স্কুলে হাজির হন একদল ক্ষুব্ধ অভিভাবক। স্কুল চত্বরে ভিড় জমান হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরাও। স্কুলে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.