Advertisement
Advertisement
American tariff

ট্রাম্পের ‘শুল্কবোমা’য় বস্ত্রশিল্পে সিঁদুরে মেঘ! ক্ষতিগ্রস্ত কোন কোন ক্ষেত্র

কোন কোন ক্ষেত্রে থাকছে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য?

Which Indian sectors will be most hit by American tariff
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 27, 2025 11:00 am
  • Updated:August 27, 2025 11:00 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক জেরে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যে শুল্কহার পৌঁছে গিয়েছে ৫০ শতাংশে। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়ল দেশিয় বাজারে। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল দেশের পোশাক উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি। জানা যাচ্ছে, শুল্ককোপে দেশের একাধিক বড় শহরে বস্ত্র উৎপাদন কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এসসি রালহান বলেন, ”বিপুল পরিমাণ এই শুল্ক চাপানোর জেরে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের বস্ত্র উৎপাদন সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ অধিক শুল্কের জেরে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশের মতো প্রতিযোগিদের তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে তারা। বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছে মূল্যবান পাথর, গয়না, চিংড়ি, কার্পেট ও অন্যান্য আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। ‘ট্রেড থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’-এর অনুমান, ২০২৫-২৬ সালে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে ৮৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৯.৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে।

রিপোর্ট বলছে, মার্কিন শুল্কে বিপুল ক্ষতির মুখে ভারত থেকে আমেরিকার চিংড়ি রপ্তানি। এই বাণিজ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে। যার জেরে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে যেখানে ২ বিলিয়ন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি হয়েছিল তা একধাক্কায় অনেকখানি কমে যাবে। পেট্রোপণ্যের উপর ৬.৯ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। অর্গ্যানিক কেমিক্যালের উপর চেপেছে ৫৪ শতাংশ শুল্ক। এই দুই ক্ষেত্রে গতবছর আমেরিকার সঙ্গে যথাক্রমে বাণিজ্য হয়েছিল ৪.১ ও ২.৭ বিলিয়ন ডলার। কার্পেট শিল্পে চাপানো হয়েছে ৫২.৯ শতাংশ শুল্ক। পোশাক রপ্তানিতে ৬০.৩ থেকে ৬৩.৯ শতাংশ হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে। গত বছর এই ক্ষেত্রে ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছিল ভারত।

বিরাট ধাক্কা খেয়েছে টেক্সটাইল শিল্প। ৫৯ শতাংশ শুল্ক চেপেছে এই খাতে। হীরে, সোনার গয়না ও মূল্যবান পাথরের উপর ৫২.১ শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে। স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামা রপ্তানিতে ৫১.৭ শতাংশ শুল্ক চেপেছে। মেশিনারির উপর চেপেছে ৫১.৩ শতাংশ শুল্ক। গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশে উপর ২৬ শতাংশ ও আসবাবের উপর ৫২.৩ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রেই মাত্রাছাড়া শুল্ক আরোপ করা হলেও ভারত থেকে আমেরিকায় ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক ধার্য করা হয়নি। গত অর্থবর্ষে আমেরিকায় ৯.৮ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ বিক্রি করা হয়েছিল। ছাড় দেওয়া হয়েছে ভারতে তৈরি স্মার্টফোনের ওপর। ভারত থেকে বানানো আইফোনই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় আমেরিকায়। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ