সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল বাবা। অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরে মৃত্যুও হয়েছিল তার। তারপরেও অত্যাচারের মাত্রা কমেনি অভিযুক্তর। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর করত। এমনকী, দুই কিশোরী মেয়েকে যৌন হেনস্তাও করত বলে অভিযোগ। অবশেষে অত্যাচারের ‘বদলা’ নিতে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন করল স্ত্রী। সঙ্গ দিল দুই মেয়ে। নয়ডার (Noida) এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে মোরানা (Morana) বাসস্ট্যান্ডের পিছন থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি অটোপসিতে পাঠালে জানা যায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশি জেরায় মৃতের স্ত্রী খুনের দায় স্বীকার করে নেন। জানায়, বছর কয়েক আগে ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে তাঁর স্বামী। অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়। কিন্তু লজ্জায়-ভয়ে কাউকে সে ঘটনার কথা জানাতে পারেননি ওই মহিলা।
পেশায় সাফাইকর্মী তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই ওই মহিলার উপর শারীরিক অত্যাচার করত। মদ-ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে তাঁকে বেধরক মারধর করত। দু’বার খুনেও চেষ্টা করে। ওই ব্যক্তির অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি দুই মেয়েও। ১৪ ও ১৬ বছরের দুই মেয়ে যখনই স্নান করতে ঢুকত, অভিযুক্ত লুকিয়ে লুকিয়ে সেই দৃশ্য দেখত বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন ওই মহিলা । দিনের পর দিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছিল। সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত তাঁরা অভিযুক্তকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর কথায়, “আমি বারবার মোরানা পুলিশ চৌকিতে অভিযোগ করেছি। স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্ত তারা কোনও পদক্ষেপই করেনি। পুলিশ পদক্ষেপ করলে, আজ আমাকে এই খুন করতে হত না।” তাঁর এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মোরানা পুলিশ চৌকির স্টেশন হাউজ অফিসার প্রভাত দিক্ষীত। তিনি জানান, “উনি অভিযোগ করেছিলেন। অভিযুক্তর সঙ্গে আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সবসময় নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত। তাই আমাদের কথা কানে তোলেনি।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তার বড় মেয়ে। স্ত্রী মৃত্য পর্যন্ত তার পা চেপে ধরে রেখেছিল। আর ছোট মেয়ে হাত বেঁধে রেখেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.