সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে ঘুমের ওষুধ কিনতে গিয়ে ডিজিটাল অ্য়ারেস্টের ফাঁদে পড়েন দিল্লির বাসিন্দা এক বৃদ্ধা। প্রতারকদের চাপে কয়েক দফায় ৭৭ লক্ষ টাকা খোয়ান তিনি। বছর খানেক আগের ওই ঘটনায় একে একে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর স্পেশাল সেলের পুলিশ। এখনও পর্যন্ত খোয়া যাওয়া ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬২ বছরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায় একাই থাকতেন। স্নায়ুর অসুখ রয়েছে তার। সেই কারণে প্রেসক্রিপশনে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। একাধিক ওয়েবসাইট খুঁজে সেই ওষুধ কেনার চেষ্টা করেন বৃদ্ধা। শেষ পর্যন্ত একটি ওয়েবসাইটে ওষুধের অর্ডার দেন তিনি। এরপরেই এক ব্যক্তি মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিক সেজে শিক্ষিকাকে ফোন করেন। তিনি জানান, বৃদ্ধার নামে ‘অবৈধ ওষুধ’ কেনার অভিযোগ রয়েছে। তিনি দিল্লিতে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
জালিয়াতদের ফাঁদ বুঝতে পারেননি বৃদ্ধা। গোটা ঘটনায় বেজায় ঘাবড়ে যান তিনি। এই সুযোগ কাজে লাগান প্রতারকরা। শিক্ষিকাকে বলা হয়, বাঁচতে হলে অবিলম্বে ৩ লক্ষ টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে বৃদ্ধাকে। ভয় পেয়ে তিনি তাই করেন। হেনস্তার অবসান হয়নি এখানেও। দিন দশেক পর এনসিবির সদস্য পরিচয় দিয়ে ফের এক ব্যক্তি ফোন করেন বৃদ্ধাকে। দ্বিতীয় ব্যক্তি বৃদ্ধাকে খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে মহিলার অ্যাকাউন্টে ২০,০০০ টাকা পাঠানো হয়।
এরপরে চার জন প্রতারক একসঙ্গে মহিলাকে ভিডিও কল করেন। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁর স্ক্রিন শেয়ার করে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়। চাপের মুখে প্রতারকদের যাবতীয় নির্দেশিকা পালন করেন বৃদ্ধা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির স্পেশাল সেলে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ওই বৃদ্ধা। তদন্তে নেমে একে একে অখিলেশ, আমজাদ, শহিদ, শাকিল এবং হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.