Advertisement
Advertisement
Karnataka

ধোপে টিকল না গেরুয়া শিবিরের আপত্তি, কর্নাটকে মন্দিরে পুজো দিয়ে দশেরা উৎসবের সূচনা বুকারজয়ী বানুর

'সংস্কৃতি আমাদের শিকড়, সম্প্রীতি আমাদের শক্তি', দশেরা উৎসবের সূচনার পর মন্তব্য বানুর।

Writer Banu Mushtaq Inaugurates Dasara Festival In Karnataka
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 23, 2025 5:01 pm
  • Updated:September 23, 2025 5:16 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গেরুয়া শিবিরের আপত্তিতে মাথা নোয়ালো না কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। মন্দিরে পুজো দিয়ে দশেরা উৎসবের সূচনা করলেন বুকারজয়ী লেখিকা বানু মুশতাক। সোমবার কড়া পুলিশি পাহারায় চামুণ্ডী পাহাড় চুড়ায় ১১ দিনের মাইসুরু দশেরা উৎসবের সূচনা করলেন তিনি। এদিন লেখিকা বলেন, এই উৎসব কর্নাটকের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক। মাইসুরুর প্রধান দেবী চামুণ্ডেশ্বরীকে নারী শক্তির প্রতীক বলে বর্ণনা করেন তিনি।

Advertisement

এদিন শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে মন্দির পরিদর্শন করেন বানু মুশতাক। এরপর চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে পুরোহিতদের বৈদিক স্তবগানের মধ্যে দেবীমূর্তিতে ফুলবর্ষণ করে বৃশ্চিক লগ্নে উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। উৎসবের সূচনার পরে বুকার বিজয়ী লেখিকা বলেন, নারীত্ব কেবল কোমলতা নয়, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তিও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং তাঁর সরকারকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দশেরা উদ্বোধনে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান বানু।

নিজের বক্তব্যে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্টতার কথা উল্লেখ করেন বানু। তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি, প্রদীপ জ্বালিয়েছি, ফুল দিয়েছি এবং মঙ্গলারতি করেছি। এটা আমার কাছে নতুন নয়।” তিনি জানান, যখন তাঁর নাম বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল, মাইসুরুতে তাঁর এক লেখক বন্ধু দেবী চামুণ্ডেশ্বরী কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। আরও বলেন, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের শিকড়, সম্প্রীতি আমাদের শক্তি এবং অর্থনীতি আমাদের ডানা। আসুন আমরা একটি নতুন সমাজ গড়ে তুলি যা মানবিক মূল্যবোধ এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, দশেরা উৎসবের উদ্বোধক হিসাবে বুকারজয়ী লেখক বানু মুশতাককে আমন্ত্রণ জানানোয় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসকে ‘হিন্দুবিরোধী’ বলে তোপ দাগে বিজেপি। পালটা বিজেপিকে ‘সঙ্কীর্ণ’ দল বলে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্দলাজ বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা প্রচার করছেন, তাঁদের বুঝতে হবে যে মন্দির ধর্মনিরপেক্ষ স্থান নয়। বরং তা পবিত্র প্রতিষ্ঠান এবং ন্যায়সঙ্গত ভাবে হিন্দুদের সম্পত্তি।’’ পালটা কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি শিবকুমার বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমরা বানুকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। দশেরা সমাজের সকলের উৎসব। চামুণ্ডী পাহাড় এবং দেবী চামুণ্ডেশ্বরী সকলের, তিনি কেবল হিন্দুদের সম্পত্তি নয়।’’ 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ