ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা উত্তর ভারতজুড়ে চলছে হড়পা বানের তাণ্ডব। কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ডের বহু জায়গা ইতিমধ্যেই বানভাসি। ঘরছাড়া বহু মানুষ। এবার সতর্কতা দিল্লিতে। হু হু করে বাড়ছে যমুনার জল। আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজধানীর যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে উঠতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার রবিবার এই সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করেছে। সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানিয়েছে, ১৯ আগস্ট রাত ২টোর মধ্যে ২০৬ মিটারের বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে যমুনার জলস্তর। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে সরকার।
রবিবার বিকেলে হাথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে ১.৭৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়।। এরপর দ্রুত জলস্তর বাড়ছে নদীতে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরে রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলস্তর ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কেন্দ্রীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় ওয়াজিরাবাদ ও হাথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে প্রচুর জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলেই নদীর জলস্তর বাড়ছে। দিল্লিতে যমুনার স্বাভাবিক স্তর ২০৪.৫০ মিটার, বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। নদীর জলস্তর ২০৬ মিটার অতিক্রম করলে মানুষকে বিপদজনক এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর জানিয়েছে, হাথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩৮,৮৯৭ কিউসেক এবং ওয়াজিরাবাদ ব্যারেজ থেকে প্রায় ৪৫,৬২০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের মতে, হাথনিকুণ্ড থেকে ছাড়া জল সাধারণত ৪৮ থেকে ৫০ ঘণ্টায় রাজধানীতে পৌঁছায়। যমুনার জলপ্রবাহ এবং বন্যার সম্ভাবনা বোঝার জন্য পুরনো রেলওয়ে ব্রিজ এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি কেন্দ্র।
সম্প্রতি মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দু’বার বিপর্যস্ত হয়েছে কাশ্মীর। কাশ্মীরের চাসোটি হড়পা বানের ক্ষত সারিয়ে ওঠার আগেই মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে কাঠুয়ায় সাতজনের মৃত্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাতীয় সড়ক। জাঙ্গলোট এলাকার একটি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্যদিকে, রবিবার সকালে হড়পা বান নেমেছে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডিতেও। বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে মাণ্ডিতে কারও মৃত্যুর খবর মেলেনি। এর আগে উত্তরাখণ্ড হড়পা বানে ভেসে যায় ধারালী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.