হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশকে ‘গ্লোবাল ফুড বাস্কেট’ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে রাজ্যের অর্থনীতিকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দিতে এটি যোগীর বড় পদক্ষেপ।
গতকাল তিনি বারাণসীর ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IRRI)-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভালো বীজ ও উন্নত প্রযুক্তির দরকার রয়েছে। এটি পেলে উৎপাদন তিন গুণ বাড়ানো সম্ভব। কৃষি গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য IRRI ও CIP-এর সঙ্গে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। এই সহযোগিতায় সেন্টার অফ এক্সেলেন্স গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রাজ্যের কৃষি সম্ভাবনাকে তুলে ধরেন। ভারতের মোট জমির ১১ শতাংশ উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। অথচ দেশটি সর্বমোট ২১ শতাংশ খাদ্যশস্য উৎপাদন করে। ধান, গম, আলু, ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনে উত্তরপ্রদেশ দেশের মধ্যে প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এসেছে। গত ১১ বছরে বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। সয়েল হেলথ কার্ড থেকে শুরু করে ফসল বীমা ও পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মতো বহু সুবিধা কৃষকদেরকে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা ফসলের খরচের দেড় গুণ এমএসপি-র সুবিধা পাচ্ছেন।
লখনউতে একটি বড় বীজ পার্ক তৈরি হবে। এটি হবে ২৫০ একর জমির ওপর। পার্কের নাম হবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের নামে। জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বীজ এখানে তৈরি হবে। উল্লেখ্য যে, উত্তরপ্রদেশের কালা নমক চালের পুরোনো ঐতিহ্য রয়েছে। এই চাল ভগবান বুদ্ধের প্রসাদ হিসাবে পরিচিত। এছাড়া আগ্রায় আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র (CIP) স্থাপনেরও কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গবেষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গবেষণার ফল যেন ল্যাব থেকে মাঠে পৌঁছায়। কৃষকরা যেন সরাসরি সেই সুযোগ সুবিধা পান। উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। এক কোটি হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। ২৯ লাখ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.