হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার রাজ্যের শিল্প বিকাশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ‘মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (MSME) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ম্যানেজমেন্ট পলিসি’-তে অনুমোদন দিয়েছে। এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছ ও সহজ উপায়ে জমি বরাদ্দ, সঠিক পরিকাঠামো ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া। ২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যের অর্থনীতিকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো এই নীতির একটি অন্যতম লক্ষ্য।
ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। উন্নত পরিকাঠামো ও স্বচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিল্পভূমি গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। নতুন নীতি অনুযায়ী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলিতে জমি, শেড এবং প্লট ইজারা বা ভাড়ার জন্য নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে। এই নিলাম অনলাইন বা ই-অকশনের মাধ্যমে হতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য মধ্যমাঞ্চল অঞ্চলে প্রতি বর্গমিটারের দাম হবে ২৫০০ টাকা। পশ্চিমাঞ্চলে এই মূল্য ২০% বেশি, অর্থাৎ ৩০০০ টাকা। অন্যদিকে, বুন্দেলখণ্ড এবং পূর্বাঞ্চলের জন্য মূল্য ২০% কম, অর্থাৎ ২০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। প্রতি বছর ১ এপ্রিল থেকে এই মূল্য ৫% হারে বৃদ্ধি পাবে।
আবেদনকারীদের মোট মূল্যের ১০% অগ্রিম জমা দিতে হবে। বাকি টাকা এক বছরের মধ্যে এককালীন বা সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এককালীন পেমেন্ট করলে ২% ছাড় পাওয়া যাবে। কিস্তিতে টাকা দিলে ১২ বা ৩৬ মাসের সমান মাসিক কিস্তির বিকল্প থাকবে। কোনও কিস্তি দিতে দেরি হলে তার জন্য জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে।
এই নীতিতে মোট প্লট ও শেডের ১০% তপশিলি জাতি ও উপজাতির উদ্যোগপতিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি কোনও যোগ্য আবেদনকারী না পাওয়া যায়, তবে প্লটগুলি অন্যদের মধ্যে পুনরায় বরাদ্দ করা হবে, যাতে উন্নয়ন ব্যাহত না হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলিতে কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, ফায়ার স্টেশন, মহিলাদের হোস্টেল, ডরমিটরি, ডে-কেয়ার সেন্টার, পরিবেশবান্ধব পার্ক, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাও থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.