Advertisement
Advertisement

ভবানীপুর জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেপ্তার ২, তিনদিনের মাথায় খুলল রহস্যের জট

আত্মীয়ের কাছ থেকে ধারের টাকা ফেরত চাইতেই বিপত্তি, দাবি পুলিশের।

2 arrested in Bhawanipore Double Murder Case | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 9, 2022 8:51 am
  • Updated:June 9, 2022 9:34 am   

অর্ণব আইচ: ভবানীপুর জোড়া খুন (Bhawanipore Double Murder) কাণ্ডে ধৃত ২। ধৃতরা মৃতদের অতি পরিচিত বলে দাবি করছে পুলিশ। বুধবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানানো হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আততায়ী নিহত বৃদ্ধের থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চাইতেই খুন করা হয় দম্পতিকে। 

Advertisement

দক্ষিণ কলকাতার হাই প্রোফাইল এলাকায় গুজরাটি দম্পতির খুনের ঘটনায় তোলপাড় শহর। বুধবার ঘটনাস্থলে হাজির হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারির আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। এর পরই সিসিটিভি ফুটেজ, আত্মীয়দের বয়ান এবং মোবালইলের সূত্র ধরেই খুনের ঘটনার তিনদিনের মাথায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হল। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে সেই সমস্ত তথ্য বের করে আনতে চাইছে তারা। সম্পত্তি নিয়ে বচসার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা।

[আরও পড়ুন: Primary TET দুর্নীতি: ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি! অভিযুক্তর বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]

পুলিশ জেনেছে, ৬০ লক্ষ টাকায় নিজেদের একতলার অংশ বিক্রি করার পরিকল্পনা করে শাহ পরিবার। ১৯৯৮ সালে এখানে ভাড়াটে হিসাবে আসে পরিবারটি। ২০০৫ সালে সেটি কিনে নেয় এই গুজরাটি পরিবার। এতদিন পর সেটি বিক্রি করা হয়। ব্রোকারের মাধ্যমে যে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়, সেই ক্রেতার সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে। এক সপ্তাহ আগে আগাম এক লক্ষ টাকা চেকে দেওয়া হয়। সম্ভবত সেই টাকারই অংশ বাড়িতে রেখেছিলেন অশোক শাহ। পুলিশকে শাহ দম্পতির ছোট মেয়ে দিশা জানিয়েছেন, তাঁদের কাঠের আলমারি থেকে লুঠ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই ঘরে জিনিসপত্র এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের ধারণা, ওই বাণিজ্যিক বাড়িটিতে নিকটাত্মীয়ের অফিসে গিয়েই ওই বাড়ি বিক্রি, এক লক্ষ টাকা পাওয়া ও কিছু টাকা বাড়িতে থাকার ব্যাপারগুলি আলোচনা করেন। ওই নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে আলোচনা করার সময়ই সম্ভবত সেই তথ্যগুলি জানতে পারে নিকটাত্মীয়েরই একজন আত্মীয়। ভবানীপুরের বাড়িতে যাতায়াতের সূত্রে ওই আত্মীয় শাহ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

[আরও পড়ুন: নাড্ডার সফরের মাঝে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল, দলীয় বৈঠকে ‘ব্রাত্য’ রাজু]

পুলিশের মতে, গত শুক্রবার ওই ব্যক্তিটি হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িটিতে এসেছিল। সেদিনই সে ‘সুপারি কিলার’ বা পিস্তলধারী ভাড়াটে খুনিকে বাড়িটি চিনিয়ে দেয়। ওই ভাড়াটে খুনিটি মধ্য কলকাতার বাসিন্দা ও খুনের পর অভিযুক্তরা কেউই শহর ছাড়েনি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। খুনের ঘটনার পুলিশের কাছে খবর, ‘সুপারি’র দেড় লাখ টাকা সেই ভাড়াটে খুনিকে দেওয়ার কথা ছিল। লুঠ হওয়ার কিছু টাকা ওই ব্যক্তি ভাড়াটে খুনিকে দেয়। শুক্রবারের পর থেকে একাধিকবার সেই ভাড়াটে খুনি এসে হরিশ মুখার্জি রোড থেকে আশুতোষ মুখার্জি রোড পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় রেইকি চালিয়ে পালানোর রাস্তা বের করে। এর পরই ওই আত্মীয়টি নিজেই গত সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ভাড়াটে খুনিকে নিয়ে শাহদের বাড়িতে ঢোকে। তাদের সঙ্গে ছিল আরও একজন। ধৃতদের জেরা করে এবিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ