অর্ণব আইচ: নামী জুয়েলারি সংস্থার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘গানম্যান’দের হাতের বন্দুকের লাইসেন্সই নেই। এভাবেই বছরের পর পর চলছে কাজ। এই ব্যাপারে জুয়েলারি সংস্থার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফের আধিকারিকরা। এসটিএফের অভিযোগ আটজনের বিরুদ্ধে। বাকিদেরও সন্ধান চলছে। তল্লাশি চালিয়ে ১৩টি লাইসেন্স, ১৪টি বন্দুক ও ৬৬ রাউন্ড বুলেট গোয়েন্দারা উদ্ধার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের দীনেশ মাহালি ও ঢোলাহাটের রাজু সর্দার এবং নদিয়ার চাকদহের বিশ্বজিৎ সরকার। তিনজনই ওই জুয়েলারি সংস্থার একটি ইউনিটে কর্মরত। গয়না পাহারার মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিউটিতে ছিলেন তারা। সেই সূত্রেই তাদের লাইসেন্স ও অন্যান্য নথি কর্তৃপক্ষ চেয়ে নেয়। লাইসেন্স দেখে জুয়েলারি কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। লালবাজারকে বিষয়টি জানানো হয়। তারই ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ওই লাইসেন্সগুলি পরীক্ষা করে বুঝতে পারে সেগুলি জাল। তিন নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, বৈধ লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও হাতে বন্দুক নিয়ে ডিউটি করছে ওই ব্যক্তিরা। সেই সূত্র ধরেই তাদের কাছ থেকে তিন নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে তিনটি ১২ বোরের বন্দুক ও ১৭টি ১২ বোরের বুলেট উদ্ধার করেন এসটিএফ আধিকারিকরা।
এরপর ওই জুয়েলারি সংস্থায় কর্মরত অন্য নিরাপত্তারক্ষীদেরও এসটিএফ জেরা করে। তাদের কাছ থেকে গোয়েন্দারা ১৩টি অস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স ১৩ জন ‘গানম্যান’ বা অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন। এ ছাড়াও ১১টি বন্দুক ও ৪৯টি বুলেট উদ্ধার করা হয়। ওই নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও এজেন্সির মাধ্যমে ওই সংস্থায় ডিউটি করতে এসেছিল কি না, তা গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন। এর আগে অস্ত্রের ভুয়ো লাইসেন্স ঘিরে তদন্ত করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। শহরের একাধিক অস্ত্রের দোকানে তল্লাশি চলানো হয়। গোয়েন্দাদের মতে, এই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে জাল লাইসেন্স তুলে দিয়েছে কোনও চক্র। ওই চক্রের মাথাদের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.