ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ভিসা, বিদেশে যাত্রার সুযোগ! গুজরাটের মানব পাচার গ্যাংয়ের এই টোপে পা দিয়ে অপহৃত হয় দুই শিশুকন্যা-সহ ৫ জন। কল্যাণী রোডের পাশে এক আস্তানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের। অবশেষে তাঁদের উদ্ধার করল রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। মানব পাচার চক্রের মূলচক্রীর হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
গুজরাটের এক গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা, এক পুরুষ ও তাঁদের ৫ এবং ৭ বছরের দুই কন্যাসন্তান। লক্ষ্য ছিল কানাডা পাড়ি দেওয়া। সেই লক্ষ্যপূরণে গুজরাটের ওই গ্যাংকে মোটা টাকা দিয়েছিল তারা। সূত্রের খবর, কেরল-লুধিয়ানা থেকে এই গ্যাংয়ের কাজ পরিচালনা করা হত। কথা ছিল, প্রথমে তাদের থাইল্যান্ড ব্যাঙ্ককে নিয়ে যাওয়া হয়। কথা ছিল, সেখানে তাঁদের ভিসা ও পাসপোর্ট বানিয়ে কানাডায় পাঠানো হবে। কিন্তু সেই উদ্দেশ্যপূরণ হয়নি। সেখান থেকে কলকাতায় আনা হয় চারজনকে। এখানকার এক হোটেলেও রাখা হয়। এরপর পাসপোর্ট, ভিসা বানানোর জন্য ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে ওই পরিবার। বলে, কী নথি বানাচ্ছে, গ্যাংয়ের সদস্যদের কাছ থেকে প্রমাণ চায় তারা। বেগতিক বুঝে হোটেল থেকে সরিয়ে পরিবারকে কল্যাণী রোডের পাশে এক আখড়ায় আটকে রাখা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের এক বাসিন্দাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিল তাঁরা। তিনি কলকাতায় এসে খোঁজ শুরু করেন। হোটেলও খোঁজ নেন। ফোন বন্ধ পেয়ে রবীন্দ্র সরোবর থানার দ্বারস্থ হন। শুরু হয় খোঁজ। একদিকে গ্রামের লোকজন খোঁজ করছেন, অন্যদিকে টাকা মিলবে না, এটা বুঝতে পেরেই ওই চারজনকে দমদম বিমানবন্দর চত্বরে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা ফোনে প্রতিবেশীকে জানান। তিনি কলকাতা পুলিশকে খবর দেন। তারপর তারা এসে উদ্ধার করে চারজনকে। এদিকে গ্যাংয়ের মূলচক্রীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.