Advertisement
Advertisement
Kolkata Airport

দুর্যোগে থমকাল কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবাও, দিনভর বাতিল ৬২টি উড়ান

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১টি বিমানের সময় বিলম্বিত করা হয়েছে। 

62 flights at Kolkata airport cancelled due to disaster

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 23, 2025 6:00 pm
  • Updated:September 23, 2025 6:10 pm   

বিধান নস্কর, বিধাননগর: সোমবার গোটা রাত অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায়। জলমগ্ন মহানগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়াবহ বৃষ্টিতে কলকাতা বিমানবন্দরেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ৬২টি বিমান বাতিল হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই ধাপে ধাপে বহু বিমানের সূচি বিলম্বিত হয়েছিল। যাত্রীরাও বিমানবন্দর পৌঁছতে নানাবিধ সমস্যায় পড়েছিলেন।

Advertisement

গতকাল রাত ১১টা থেকে এদিন সকাল পাঁচটা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও শহরতলিতে। প্রবল দুর্যোগে কার্যত জলের তলায় শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলে বন্দি সাধারণ মানুষজন। কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এই বৃষ্টির যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে যায়। তবে রানওয়েতে জল জমে থাকার খবর মেলেনি। তবে বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন থাকায় বিমানবন্দরের কর্মী, পাইলট, যাত্রীদের সঠিক সময়ে পৌঁছতে সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিক খবর। বেশ কিছু উড়ান দেরিতে শহর থেকে গন্তব্যে যাত্রা করেছে বলে খবর।

শহর জলবন্দি হয়ে যাওয়ায় কেবল যাত্রীরাই নয়, বিমানবন্দরের কর্মী, বিমানের ক্রু মেম্বাররাও আটকে গিয়েছিলেন। কর্মীদের নিয়ে আসার জন্য গাড়ি পাঠালেও বহু জায়গাতেই জলে চলাচলে সমস্যা হয়। কর্মীরা অনেকটাই দেরিতে বিমানবন্দরে আসেন বলে খবর। কলকাতার আকাশ ভারী কালো মেঘে ঢেকেছিল। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সেসময় বিমান চলাচল করতে পারেনি। ক্রমাগত বিমানের সূচি বিলম্বিত করা হয়। এদিন বিকেলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গার যাওয়ার নির্ধারিত ১০৩টি বিমানের সময়সূচি ধাপে ধাপে বিলম্বিত করা হয়। শেষপর্যন্ত ওঠা-নামা মিলিয়ে মোট ৬২টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পারা, কর্মীদের আসতে দেরি-সহ দুর্যোগের একাধিক কারণের জন্য এদিন বিমান চলাচলে বিলম্বিত হয়েছে বলে প্রাথমিক খবর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১টি বিমানের সময় বিলম্বিত করা হয়েছে। 

ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিমানবন্দরের এপ্রোন এরিয়ায় জল জমে যায়। এই জায়গা দিয়েই যাত্রীরা বিমানে ওঠার জন্য যাতায়াত করেন। ওই এলাকার জল নামানোর জন্য পাম্প চালু করা হয়। মোট ছ’টি পাম্প চালু করে বেলার দিকে ওই জল নামানো সম্ভব হয়। দুর্যোগে রানওয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রাতে বিমান থেকে অনেক যাত্রী বিমানবন্দরেই আটকেছিলেন বলে খবর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ