Advertisement
Advertisement
Dilip Ghosh

‘দাবাং’ দিলীপই ভরসা! সক্রিয় করতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দলের আদি কর্মীরা

'ছাব্বিশে ওঁকে দরকার', ভোট ময়দানে গেরুয়া শিবিরকে চাঙ্গা করতে বলছেন এক নেতা।

A BJP faction of senior members urges revival of Dilip Ghosh’s active role

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 6, 2025 3:52 pm
  • Updated:June 6, 2025 4:26 pm   

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বঙ্গ বিজেপির দাবাং নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এখন কার্যত দলের কাছে ব্রাত্য। কিন্তু দলের একাংশের বিশ্বাস, বাংলায় বিজেপির সংগঠনের হাল ফেরাতে পারেন একজনই। তিনি দিলীপ ঘোষ। আর তাই বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে দলের কাজে যাতে আবার সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়, সেই আর্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্মশিবিরের আদি নেতাদের একাংশ, খবর এমনই।

Advertisement

বাংলায় বিজেপির মাটি শক্ত করতে দিলীপ ঘোষের অবদান কতখানি, তা বাংলার গেরুয়া শিবির তো বটেই রাজনৈতিক মহলও জানে। ২০১৯ সালের লোকসভায় বাংলার আঠারোটি আসন জিতেছিল বিজেপি। যা এযাবৎকালে রাজ্যে বিজেপির সর্বোচ্চ সাফল্য। তারপর থেকে বহু নতুন মুখ দেখা গিয়েছে পদ্মশিবিরে। একইভাবে কমেছে পুরনোদের দায়িত্ব। সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। বর্তমানে কার্যত ব্রাত্য তিনি। রাজ্যে মোদি, শাহর কর্মসূচিতেও ডাক পাননি। এদিকে চব্বিশের লোকসভায় আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বিজেপির। ফলে দিলীপ ঘোষের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া আদতে বিজেপির জন্য নেতিবাচক, তা পরিষ্কার বুঝতে পারছে দলের একাংশ। তারা মূলত আদি বিজেপি শিবির। তাই বিজেপির আদি শিবিরের তরফেই রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অনুরোধ করা হয়েছে, দিলীপকে যাতে ফের সক্রিয়ভাবে বঙ্গ বিজেপিতে কাজে লাগানো হয়। বিজেপির পুরনো নেতাদের একাংশ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে গিয়ে দিলীপ ঘোষের দলে প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন।

পাশাপাশি আদি বিজেপির একাংশ দিল্লির কাছেও এই আর্জি রেখেছে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একজন প্রবল ‘দিলীপ বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত। তিনিই মূলত দলের কাছে বলেছেন, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে কর্মসূচি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হোক। গত সপ্তাহে নেতাজি ইন্ডোরে অমিত শাহর সভায় দিলীপ ঘোষকে না ডাকার পিছনে মূলত ওই কেন্দ্রীয় নেতারই আপত্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে। আদি বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, দল চলে যাচ্ছে তৃণমূলের থেকে আসা বিজেপি নেতাদের (দলবদলকারী) কাছে।

এদিকেই অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ‘একনায়কতন্ত্র’ মেনে নিতে পারছে না। বিশেষ করে পুরনো বিজেপিরা। দিলীপ ঘোষের একটা জনপ্রিয়তা ছিল দলে। তিনি সরে গেলে, তাঁর ঘনিষ্ঠরাও সরবে। এটা মোটামুটি বুঝে গিয়েছেন সকলেই। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, যে কোনও মূল্যে দিলীপকে সক্রিয় করার। এবিষয়ে এক বিজেপি নেতা বলেন, “দিলীপদা কখনও দলছুট হবেন না। দিলীপদাকে আবার আমরা পাব। ছাব্বিশে ওঁকে দরকার।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ