সুব্রত বিশ্বাস: ফের রাজ্যে মিলল আরও এক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের হদিশ। ফের ঘটনাস্থল হাওড়া। এবার নিশ্চিন্দা থানার ষষ্ঠীতলা এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির পরিচারকের দেহে মিলল ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ। রিপোর্ট পাওয়ামাত্রই ওই পরিচারক যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
আক্রান্ত ওই পরিচারক বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তা দেখেই মূলত সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর তাঁর শরীরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই দেখা গিয়েছে, ওই পরিচারক করোনা আক্রান্ত। খবর পৌঁছয় ওই এলাকার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত যে বাড়িতে ওই পরিচারিকা কাজ করতেন, সেই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত বিহারের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ষষ্ঠীতলার ওই বাড়িতেই পরিচারকের কাজ করেন। তাঁর গৃহকর্তার বাড়ির মালিকের এক ছেলে কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী, একজন অধ্যাপক, একজন আইআইটি পড়ুয়া। তবে এই পরিবারে বিদেশ যোগের কোনও সূত্র এখনো পাওয়া যায়নি। ওই পরিচারিকা ইতিমধ্যে দেশেও যাননি। ফলে কীভাবে ওই পরিচারকের শরীরে মারণ করোনা ভাইরাস থাবা বসাল, তা ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। তবে পরিচারক নিজেই ওই পরিবারের জন্য বাজার, দোকান করতে বেরোতেন। সেক্ষেত্রে বাইরে বেরনোর ফলে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধল কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্যকর্মীর।
ইতিমধ্যেই হাওড়াকে করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে আবারও করোনা আক্রান্তের হদিশে আশঙ্কার পারদ চড়ছে। মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) জানান, সতীশতলায় এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আবারও কোণা থেকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হবে। এরপর বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় এই জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে এলাকায় ক্লোরিন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা সব জোগাড় করে রেখেছি। সব প্রচেষ্টা চালাব। এলাকার কোনও মানুষ যাতে অসুস্থ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.