Advertisement
Advertisement
Abhishek Banerjee

সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন মহুয়া-পিনাকী, শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক

ওড়িশার বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন কৃষ্ণনগরের ‘দাপুটে’ নেত্রী।

Abhishek Banerjee congratulates Mahua Moitra on her wedding
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 5, 2025 10:00 pm
  • Updated:June 5, 2025 10:22 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মহুয়া মৈত্রকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়ার একটি পোস্টকে রিটুইট করে তিনি তাঁকে আগামী জীবনে সুখী হওয়ার শুভকামনা জানান। বছর পঁয়ষট্টির রাজনীতিক পিনাকী মিশ্রর সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন কৃষ্ণনগরের ‘দাপুটে’ নেত্রী। বিয়ের খবর জেনে দলমত নির্বিশেষে সকলে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেকও।

অভিষেক লিখেছেন, ‘হার্দিক অভিনন্দন! একসঙ্গে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করার জন্য আপনাদের দু’জনকেই অফুরান সুখ ও মজবুত পার্টনারশিপের শুভেচ্ছা জানাই।’ গত ৩ মে মহুয়া মৈত্রের বিবাহের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, বার্লিনের প্রাসাদের সামনে পিনাকী মিশ্রর সঙ্গে হাত ধরে আসছেন সদ্য বিবাহিত মহুয়া। তাঁর পরনে পিচ গোলাপি ও সোনালি রঙের দামি শাড়ি। গলায় চওড়া হার, কানে দুল, মাথায় টিকলি। বছর একান্নর মহুয়া বরাবরই রূপসী। বিয়ের ছিমছাম সাজে তাঁকে আরও সুন্দরী দেখাচ্ছিল। আর বর ওড়িশার বিজু জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রর পরনে সাদা কুর্তা, সোনালি জ্যাকেট। নবদম্পতিকে দেখে অবাক অনেকেই।

শোনা গিয়েছে, বার্লিনে আইনি বিয়ে সারার পর মহুয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই খবর জানান। মমতার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। এর আগে ডেনমার্কের অর্থনীতিবিদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহুয়া মৈত্রর। তিনি নিজেও রাজনীতিতে আসার আগে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের উচ্চপদে চাকরি করতেন। তবে পরবর্তীতে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এবার তিনি ফের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।

 

এদিকে গত বুধবারই বিদেশ সফর শেষে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক। ১৫ দিন ধরে মোট পাঁচটি দেশে ঘোরেন তিনি। বিশ্বমঞ্চে ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে সম্প্রতি উপমহাদেশে ঘুরেছে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তেমনই একটি দলের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিনিধিত্ব করছি। শাসক দলের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। এখানে আমি আমার জাতীয় আগ্রহর চেয়ে রাজনৈতিক আগ্রহকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না।” এদিকে বুধবার কলকাতায় নেমে তিনি জানিয়ে দেন জয়শংকরের ডাকা সর্বদল বৈঠকে থাকতে পারবেন না। অভিষেক জানান, পূর্ব নির্ধারিত বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। তাছাড়া আগামী ১৯ তারিখ কালীগঞ্জে উপনির্বাচন। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈঠকও আছে। সেই কারণেই এই মুহূর্তে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না তিনি। তবে সফরকালের উপলব্ধি চিঠিতে বিদেশমন্ত্রকে জানাবেন অভিষেক।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement