Advertisement
Advertisement

অভিনয় শেখানোর নামে ধর্ষণ! নাট্যব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে সরব অভিনেত্রী

রিহার্সালের সময় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ ওই অভিনেত্রীর।

Actress filed a rape case against theater actor Sudipto Chatterjee

ছবি:‌ প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 17, 2019 7:31 pm
  • Updated:October 24, 2019 1:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনয় শেখানোর নাম করে ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ওই ছাত্রী ফেসবুকে দু’টি দীর্ঘ পোস্ট করেন। তাঁর অভিযোগ, সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের নাটকের দল ‘স্পেক্ট্যাক্টরস’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। অনেক নাটকে অভিনয়ও করেছেন। বুধবার রাতে ধর্ষণের কথা বর্ণনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেন ওই মহিলা। ফেসবুকে তাঁর পোস্ট ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

Advertisement

সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মিডিয়া সায়েন্স’-এর ‘পারফরম্যান্স অ্যান্ড মিডিয়া’ বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এই অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় বলে খবর। মহিলার অভিযোগ, সুদীপ্তর বাড়িতেই নাটকের রিহার্সাল হত। কিন্তু একদিন রিহার্সালের সময় বাড়িতে দলের অন্য কোনও সদস্য ছিলেন। সুদীপ্তর স্ত্রী-ও অনুপস্থিত ছিলেন। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অভিযোগ, অভিনয় শেখানোর নামে সুদীপ্ত প্রথমে তাঁর ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন, পরে ধর্ষণ করেন।

complain-fb

[ আরও পড়ুন: ‘কার্নিভাল তাক লাগিয়ে দিয়েছে’, রাজ্যপালের সমালোচনার জবাব মমতার ]

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, তাঁর ছাত্রীর অভিনয়ে খামতি ছিল। তাই অভিনয়ের স্বার্থেই ‘ডায়াফ্রাম ব্রিদিং টেকনিক’-এর প্রয়োজন ছিল। এবং তিনি সেটাই করেন। তাঁর দাবি, ওই তরুণীই তাঁর কাছে অনুরোধ ভুল সংশোধন করানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যা হয়েছে তরুণীর সম্মতিক্রমেই হয়্ছে। অনুশীলনীর অংশ হিসেবে যেটুকু আংশিক নগ্নতা বা শরীরী স্পর্শ হয়েছে, সেটুকুই। তাতে তরুণীর অসম্মতিও ছিল না। অশালীনতা বা ধর্ষণের কোনও ঘটনাই সেদিন ঘটেনি। আগেও তিনি অভিনয়কে ত্রুটিমুক্ত করার জন্য অনেকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু কেউ এমন অভিযোগ আনেনি।

তবে, অভিযোগকারিণীর অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। তাঁর দাবি, তিনি একা নন। আরও অনেকেই সুদীপ্তর উপর এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁরা সম্মিলিত ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন। কিন্তু কবে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন, সে নিয়ে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।

কিন্তু অভিযোগকারী এসব মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, প্রথমবার তিনি গোটা ব্যাপারটা মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রতিবাদ করেন। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে তিনি পাশে পাননি। তাই সাহস সঞ্চয় করতে সময় লেগেছে। তারপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ১৪ অক্টোবর সুদীপ্তর কর্মস্থলেও অভিযোগ জানান তিনি।

[ আরও পড়ুন: আস্থা নেই রাজ্য পুলিশে! রাজ্যপালের সুরক্ষা এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement