সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর যুদ্ধবিরোধী মিছিলে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হানা৷ অভিযোগ, প্রথমে মানবাধিকার সংগঠনটির মিছিল ধর্মতলার এসএন ব্যানার্জি রোডে আটকানো হয়৷ এরপর তাঁদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে ১৫ জনের একটি দুষ্কৃতীদের দল৷ সংগঠনটির দাবি দুষ্কৃতীরা সকলেই আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য৷ ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷
[শুরু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পথ চলা, ভাড়া কত জানেন? ]
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ মৌলালি থেকে শুরু হয় এপিডিআর মানবাধিকার সংগঠনের এই যুদ্ধবিরোধী মিছিল৷ এসএন ব্যানার্জি রোডে জানবাজারের কাছে মিছিল পৌঁছালে চারপাশে উঠতে থাকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান৷ অভিযোগ, হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলের উপর চড়াও হয় একদল যুবক৷ তাঁরা এই যুদ্ধ বিরোধী মিছিলের প্রতিবাদ করতে থাকে৷ ফলে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় জানবাজার চত্বরে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ ওই যুবকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র৷ সূত্রের খবর, ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷
[রাতভর ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল যাদবপুর, বিকেলে ধিক্কার মিছিল]
এই ঘটনার পিছনে আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এপিডিআর কর্মী রঞ্জিত শূর৷ সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি জানান, ‘দেশে যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল, তার বিরুদ্ধেই তাঁদের এই মিছিল ছিল৷ কিন্তু আরএসএস ও ভিএইচপির দুষ্কৃতীরা মিছিলের উপর হামলা করেছে৷’ ওই হামলায় তাঁদের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানান রঞ্জিত বাবু৷ একই অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্রও৷ আরএসএস ও ভিএইচপি ছাড়াও তিনি কাঠগড়ায় তোলেন কলকাতা পুলিশকেও৷ তিনি জানান, এই মিছিলের আগে এন্টালি থানা, লালবাজারকে জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু এদিনের ঘটনার সময় পুলিশ কোনওরকম সাহায্য করেনি৷ পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল৷ অন্যদিকে এই মিছিলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশে যখন যুদ্ধ লাগেনি তখন যুদ্ধবিরোধী মিছিল কেন? কেন ওনাদের মনে হচ্ছে যুদ্ধ হবে?’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.