Advertisement
Advertisement
Sonam Wangchuk

বাঙালি অন্বেষক, ঘুরতে গিয়ে শুধু রিলস বানায় না: সোনম ওয়াংচুক

শহরে পা রেখে এমনটাই জানালেন সোনম ওয়াংচুক।

Bengali explorers don't just make reels while traveling: Sonam Wangchuk
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:August 6, 2025 1:38 pm
  • Updated:August 6, 2025 1:38 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: বাঙালি অন্বেষক। বাঙালিরা ঘুরতে গিয়ে স্রেফ রিল বানায় না। তাদের মধ্যে রয়েছে অনুসন্ধানী চিত্ত। সে কারণে লাদাখের মানুষ বাঙালি পর্যটকদের ভালোবাসে। অন‌্য রাজ্যের মানুষরা দেখে কম। রিল বানায় বেশি। শহরে পা রেখে এমনটাই জানালেন সোনম ওয়াংচুক।

Advertisement

“নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলো। সাফল‌্য দৌড়ে আসবে তোমার কাছে।” তুমুল জনপ্রিয় ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানের এই সংলাপ। থ্রি ইডিয়টসে আমির খানের চরিত্রটি গড়ে উঠেছে যাঁর আদলে সেই লাদাখনিবাসী সোনম ওয়াংচুক মঙ্গলবার পা রেখেছিলেন তিলোত্তমায়। ধনধান‌্য অডিটোরিয়ামে জেআইএস-এর অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে গল্প করলেন বাস্তবের ফুংশুক ওয়াংরু। শিশুদের ভবিষ‌্যৎ গড়ে তুলতে বিদ‌্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। কেমন হবে আদর্শ স্কুল?

ওয়াংচুক ধনধান‌্য অডিটোরিয়ামে এদিন বলেন, ‘‘দরকার নেই ভালো প্রিন্সিপাল, ঝকঝকে স্কুল ইউনিফর্ম। বিদ‌্যালয় দাঁড়িয়ে থাকে তিনটে জিনিসের উপর।’’ কী সেই তিনটে জিনিস? 
কৌতূহল, সহানুভূতি আর অভিজ্ঞতা। বাস্তবের ফুংশুক ওয়াংরু এদিন বলেছেন, ‘‘এই তিনটে জিনিসই পারে একজন ছাত্রকে গড়ে দিতে। জেআইএসের অনুষ্ঠানে এসে সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন, ‘‘যদি কৌতূহল থাকে, তবে তুমি শিখতে পারবে। ছোটবেলা থেকে যা দেখবে, যা শুনবে সব নিয়ে কৌতূহল থাকতে হবে। যে কোনও বিষয় নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রচুর প্রশ্ন করবে। সহপাঠীরা হয়তো শুরুতে হাসবে। তবে শেষ হাসি হবে তোমার।”

নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন, ‘‘স্কুলে আমি এত প্রশ্ন করতাম সবাই আমায় বলত, ইন্সপেক্টর। সেদিন যে উত্তরগুলো আমি পেয়েছিলাম সেগুলো আমায় জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায‌্য করেছে।” শুধু জানার জন‌্য নয়। চিরতরুণ মন ধরে রাখতেও প্রয়োজন কৌতূহল। এদিন সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছেন, যদি মনের মধ্যে কোনও কিছু জানার তীব্র ঔৎসুক্য থাকে, থাকে প্রখর আগ্রহ, তা হলে আশি বছরেও মন থাকবে ১৮ বছরের মতো তরুণ তরতাজা।

ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে লাদাখের অন‌্যতম পরিবেশকর্মী সোনম বলেছেন, আমি জানি এই প্রশ্ন করার মানসিকতা বজায় রাখা অত‌্যন্ত কঠিন। কারণ ছোটবেলা থেকেই একজন শিশুকে বলা হয়, ‘‘এত প্রশ্ন কোরো না।’’  শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক বলেন, ‘‘পিন ড্রপ সাইলেন্স।’’ কিন্তু আদর্শ স্কুল কখনও এরকম হবে না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ