রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে রাতেই শহরে এসেছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ব্রিগেডের মঞ্চে দেখা যাবে মিঠুনদা’কে। তার আগে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিজেপি নেতা য়র সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রবীণ অভিনেতা।
अभी देर रात कोलकाता के बेलगाचिया में सिनेमा जगत के माशूर अभिनेता मिथुन दाँ के साथ लम्बी चर्चा हुई ।
उनकी राष्ट्र भक्ति और ग़रीबों के प्रति प्रेम की कहानियाँ सुनकर मन गद-गद हो गया ।Advertisement— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline)
গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাতারকাদের হাজির করানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেইমতো এই তিন মহাতারকার সঙ্গে গেরুয়া শিবির যোগাযোগ করেছে বলেও সূত্রের দাবি। তবে, সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্র ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তিনি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হচ্ছেন না। প্রসেনজিতের এই সভায় থাকার সম্ভাবনাও কম। তবে, মিঠুন চক্রবর্তী এই সভায় থাকছেন। বিজেপির শীর্ষনেতাদের দেওয়া প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই ‘সম্মতি’ দিয়ে দিয়েছেন ‘মহাগুরু’। শনিবার রাতে মিঠুন শহরে পৌঁছাতেই তাঁর বেলগাছিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিজেপির এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। যদিও প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি বিজেপি নেতা। টুইটারে তিনি বলছেন, “গভীর রাত পর্যন্ত সিনেমাজগতের বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুনদাদা’র সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হল।ওনার দেশের প্রতি ভালবাসা এবং গরিবদের জন্য সাহায্যের ঘটনাগুলি শুনে আমার হৃদয় পরিপূর্ণ।”
মিঠুনের ব্রিগেডে উপস্থিত থাকা এবং বিজেপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে তাঁর বিজেপি যোগদানের সম্ভাবনা আরও জোরাল হল। যদিও, এখনই তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনে মিঠুনকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে পারে গেরুয়া শিবির। দিন কয়েক আগেই আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। একপ্রকার হঠাৎই বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বইয়ের মাঢ় অঞ্চলে মহাতারকার বাংলোয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে মিঠুনের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে।
প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের (TMC) তরফে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাঁকে। একটা সময় এরাজ্যের শাসকদলের হয়ে ভোটের প্রচারেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদও ত্যাগ করেন ‘মহাগুরু’। তারপর থেকেই কার্যত রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই মিঠুনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.