দীপঙ্কর মণ্ডল: একসময় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে রাজ্য ভাগের দাবি শোনা যেত। এবার সেই দাবি উঠল বিধানসভায়। বুধবার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে কালিম্পংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা রাজ্য ভাগের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ সব দিক দিয়ে বঞ্চিত। যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণ, আইনশৃঙ্খলা সব দিক দিয়ে বেশি করে পিছিয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। নতুন রাজ্যের মর্যাদা পেলে এই করুণ অবস্থা থাকবে না।”
বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য চলাকালীন শাসকদলের বিধায়করা প্রতিবাদ করেন। সরব হন মন্ত্রীরাও। পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিরোধী দল শুধু রাজ্যের নয় দেশেরও বিরোধিতা করছে। সংবিধানের অবমাননা করছে বিজেপি। আমরা বিজেপির বাংলাভাগের চক্রান্ত রুখে দেব।” বিধানসভার বাইরে নিজের দলেরই সমর্থন পাননি বিষ্ণুপ্রসাদ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল অনুন্নত। কলকাতার কয়েক কিলোমিটার পরিধি বাদ দিলে গোটা রাজ্যেই উন্নয়ন হয়নি। তাই এমন দাবি উঠছে। ভবিষ্যতে হয়ত জঙ্গলমহলও আলাদা রাজ্যের দাবি করবে। তবে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যা চেয়েছিলেন আমরা রাজ্যের মানচিত্র সেভাবেই দেখতে চাই।” উল্লেখ্য, শ্যামাপ্রসাদ অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গই চেয়েছিলেন। বিজেপি দলের বক্তব্যও তাই। কিন্তু মাঝমধ্যে গেরুয়া ব্রিগেড থেকে বিক্ষিপ্তভাবে উত্তরের জেলাগুলি নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি ওঠে।
বিষ্ণুপ্রসাদ এদিন বলেন, উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দাবির কথা বলতেই থাকবেন। উল্লেখ্য, আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখেও এই দাবি করেছেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক। দার্জিলিংকে কেন্দ্র করে একটি আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত এলাকা গঠনের দাবি জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জিটিএ ভোট হচ্ছে না। ২০১৩ সাল থেকে অডিট হয়নি। অনুন্নয়নের কথা বলেছেন আমাদের বিধায়ক। তিনি খারাপ কিছু বলেননি।”
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাও আগে বাংলা ভাগের দাবি করেছেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য বিজেপিকে জানাতে হয়েছিল তারা বাংলা ভাগ চায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.