রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কখনও আমফানের () ত্রাণ তো কখনও রেশন ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব রাজ্য রাজনীতি। এই দুই ইস্যুতে শাসক-বিরোধী তরজার কোনও শেষ নেই। আরও একবার রেশন ‘দুর্নীতি’ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা গেরুয়া শিবিরের। ফের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের () বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ()।
বুধবারই বিজেপির বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাগদা বিধানসভার কালিয়ারা পঞ্চায়েতের অমৃতা বিশ্বাস, বিভা মজুমদারের মতো বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রী আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন বলেই অভিযোগ করেছিলেন। খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই বিজেপি নেতানেত্রীদের ঘরের কোনও ক্ষতি হয়নি। তা সত্ত্বেও বাড়ি মেরামতির জন্য বরাদ্দ ত্রাণ নিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও জিতু বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মী সাতটি বাড়ি মেরামতির ত্রাণ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি আরও দাবি করেন, তৃণমূলের ক্ষমতা রয়েছে দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।
বৃহস্পতিবার সকালে পালটা হিসাবে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগের বাণ ছুঁড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন নিউটাউনের কদমপুরে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দিলীপ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “সবচেয়ে বেশি রেশনের চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্রে। তাই হিম্মত থাকলে ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দেখাক।” যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা ‘স্বজনপোষণের’ অভিযোগেরও পালটা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কটাক্ষ, “দেখতে হবে। তৃণমূল ছেড়ে বহু লোক বিজেপিতে এসেছে। এরাও বোধহয় সেইরকম। পুরনো স্বভাব ছাড়তে পারেনি।”
এর আগেই যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতির শিক্ষাদীক্ষার অভাব রয়েছে বলেই সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এবারের আক্রমণের পালটা জবাব এখনও দেননি তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.