রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপি যুব মোর্চার নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মীরা। আটক করা হল প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, কল্যাণ চৌবে, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। এখনও তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
বিজেপির অভিযোগ, পুরভোটে রাজ্যজুড়ে চলছে সন্ত্রাস। প্রচার থেকে মনোনয়ন সব ক্ষেত্রে বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে বারবার। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি। উত্তেজনা সামাল দিতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। কমিশনের দপ্তরের সামনে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশি বাধার মুখে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের তুলতে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা বিজেপি কর্মীদেরও টানাহেঁচড়া করা হয় বলে অভিযোগ। আটক করে বেশ কয়েকজন বিজেপির নেতা-কর্মীকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও (Priyanka Tibrewal)। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমাদের কীভাবে ধাক্কা দিল পুলিশ? আগে আমাদের জানানো উচিত কেন আমাদের আক্রমণ করা হল।” এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে গ্রেপ্তার করা এত সহজ নয়। এরপরও দফায় দফায় আরও নেতা-কর্মী জড়ো হন কমিশন চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরবর্তীতে আটক করা হয় কল্যাণ চৌবে, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ অনেককে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.