Advertisement
Advertisement
Bansdroni

বাঁশদ্রোণীতে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে মা-ছেলের পচাগলা দেহ উদ্ধার, খুন নাকি আত্মহত্যা?

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

bodies of mother and son recovered from closed flat in Bansdroni

প্রতীকী ছবি

Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 23, 2025 7:26 pm
  • Updated:September 23, 2025 7:26 pm   

অর্ণব আইচ: বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধা মা ও ছেলের পচাগলা দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায়। মৃতদের নাম শিলা দাশগুপ্ত ও সুতীর্থ দাশগুপ্ত। ঘর থেকে ঘুমের ওষুধ মিলেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

গতকাল রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা শহরের জনজীবন। মহানগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। সেই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার সকালে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশের কাছে খবর যায় একটি ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ব্রহ্মপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কটু গন্ধ বার হচ্ছিল। ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা।

ফ্ল্যাটের ভিতরে খাটের উপরে পড়ে থাকতে দেখা যায় মা ও ছেলেকে। দুই মৃতদেহেই পচন ধরেছে। জানা গিয়েছে, ৬৯ বছরের শিলা দাশগুপ্ত ও তাঁর ৩৮ বছরের ছেলে সুতীর্থ আগে ওড়িশার পুরীতে থাকতেন। ওই প্রৌঢ়ার স্বামী সেখানে একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর মা ও ছেলে ওড়িশার সব কিছু বিক্রি করে কলকাতায় চলে এসেছিলেন। গত প্রায় দেড় বছর আগে কলকাতার ওই ঠিকানায় দু’জনে থাকতে শুরু করেন। এদিন খাটের উপর থেকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধের ফাঁকা স্ট্রিপ উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি ঘুমের ওষুধ খেয়ে দু’জনে আত্মঘাতী হয়েছেন? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গিয়েছে, ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। চিকিৎসাও চলছিল। ওই প্রৌঢ়ারও ওড়িশার একটি হাসপাতালে মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, দিন কয়েক আগেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ