ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: বৃদ্ধার পচা-গলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রবিবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়াল টালিগঞ্জের (Tollygunge) রানি ভবানি রোড এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল ওই বৃদ্ধার? সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।
টালিগঞ্জের রানি ভবানি রোডের বাসিন্দা বছর ৭৫-এর ওই বৃদ্ধার নাম সন্ধ্যারানী দাস। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। কর্মসূত্রে ছেলে থাকেন আমেরিকায়। ফলত বাড়িতে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। কিন্তু কোথা থেকে তা আসছে তা বুঝতে পারছিলেন না। রবিবার গন্ধটা আরও প্রকট হতেই উৎসের সন্ধান শুরু করেন টালিগঞ্জের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানি ভবানি রোডের বাসিন্দারা। এরপরই তাঁরা বুঝতে পারেন যে, গন্ধ আসছে সন্ধ্যারানীদেবীর বাড়ি থেকেই। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় টালিগঞ্জ থানায়। পুলিশ ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য। জানা যায়, বিছানার উপর পড়ে ছিল বৃদ্ধার পচা-গলা দেহ। বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু হওয়ায় শরীর থেকে চামড়া কালো হয়ে খসে পড়তে শুরু করেছিল।
এরপরই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। বৃদ্ধার এই নির্মম পরিণতি জানার পর আক্ষেপের সুর প্রতিবেশীদের গলায়। তাঁদের কথায়, একবার যদি খোঁজ নেওয়া হত আগে। তাহলে হয়তো এই পরিণতি হত না। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে যে, তবে কি ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না ওই বৃদ্ধার? কারণ, বেশ কয়েকদিন আগেই তো মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। এতদিন মাকে ফোনে না পেলে পড়শিদের যোগাযোগ করবেন ছেলে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেরকম কোনও ফোন আসেনি বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। মা-ছেলের সম্পর্ক কেমন ছিল, তাও জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.