Advertisement
Advertisement
Kolkata

সহবাসে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা, পালিয়েও পার পেল না প্রেমিক! শিয়ালদহ আদালতেই ‘বিবাহ অভিযান’

অভিযুক্ত আরমান গ্রেপ্তার হতেই ঘুরে যায় মোড়!

Boy and girl married after she got pregnant

প্রতীকী ছবি।

Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 14, 2025 9:20 pm
  • Updated:October 14, 2025 9:29 pm   

অর্ণব আইচ: প্রেমের সম্পর্ক চলছিল দীর্ঘদিন ধরে! সহবাসের সময় কথা দিয়েছিল বিয়ে করবে বলেও। কিন্তু পাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তেই পগারপার পাত্র! লজ্জায় কাউকে বলতে পারছিলেন না তরুণী! যদিও শেষমেশ সাহস করে বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরেই ঘুরে যায় মোড়! তরুণীর বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায় আরমানের পরিবার। বিয়ে করতে চান অভিযুক্ত নিজেও। শেষমেশ শিয়ালদহ এসিজেএম আদালতেই বসল বিয়ের আসর। এরপরেই ধৃত আরমানের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

Advertisement

জানা যায়, ওই তরুণী পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত তপসিয়ার বাসিন্দা। তিনি একটি কারখানায় কাজ করেন। বেশ কয়েকমাস আগেই ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় ওই তরুণীর। ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। ঘনিষ্ঠতার সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেও যেতেন তাঁরা। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেন আরমান। সবকিছু ঠিক থাকলেও কয়েকমাস আগে ওই নির্যাতিতা বুঝতে পারেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই বিষয়টি আরমানকে জানান।

অভিযোগ শুনেই বেঁকে বসে আরমান। জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে নাকি এখনই বিয়ে করা সম্ভব নয়। এমনকী যোগাযোগ কমিয়ে দেন বলেও অভিযোগ। প্রথমে লজ্জায় পরিবারকে কিছু না জানাতে পারলেও পরে পরিবারকে খুলে বলেন সবটা। কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই তরুণী। এরপরেই অভিযুক্ত আরমানের বিরুদ্ধে বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। তরুণীর বাবা জানান, আরমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রথমেই বিয়ে নিয়ে বেঁকে বসে। কার্যত বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তদন্তে নেমে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছেলে গ্রেপ্তার হতেই মত পালটে ফেলে তাঁর বাবা-মা। বিয়েতে রাজি হয়ে যান তাঁরা।

এরপরেই শুরু হয় দুই বাড়ির মধ্যে আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ ও মহম্মদ আশির শিয়ালদহ আদালতে আবেদন জানান। বিচারকও দু’জনের বিয়েতে সম্মতি দেন। এরপরেই আজ মঙ্গলবার বিয়ের সাজে ওই তরুণীকে নিয়ে শিয়ালদহের এসিজেএম আদালতে হাজির হয় পরিবার। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ধৃত আরমানকেও আদালতে আনা হয়। বিচারকের সামনে দু’জনকে বসানো হয়। আসেন কাজি মহম্মদ শামস। তাঁর সামনেই দু’জনে বিয়ের জন্য সম্মতি দেন। আদালতেই বসে বিয়ের আসর। কাজির সামনেই সমস্ত স্বাক্ষর হয়। শুধু তাই নয়, নেওয়া হয় অন্যান্য আইনি পদক্ষেপও। এরপরেই আরমানের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এরপরেই নববধূকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন আরমান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ