জলের স্রোতে আটকে গিয়েছে বাস। নিজস্ব চিত্র
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলছে। হড়পা বানে আটকে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। প্রবল জলস্রোতের মধ্যে আটকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তবে শেষঅবধি কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের চেষ্টায় শেষপর্যন্ত যাত্রীদের আটকে যাওয়া বাস থেকে উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে মাদারিহাটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, জামতালা থেকে টোটোপাড়াগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। আজ, বুধবার সকালে একটি বাস যাত্রীদের নিয়ে মাদারিহাটের ওই এলাকা দিয়ে টোটোপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে খরস্রোতা বাংরি নদী। টানা বৃষ্টি ও ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে ওই নদী। স্থানীয় সূত্রে খবর, আচমকাই ওই নদীতে হড়পা বান দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ জলরাশি নদীতে চলে আসে। সেই জলে কার্যত গোটা এলাকা ভেসে যায়।
জলের স্রোতে আটকে পড়ে যাত্রীবাহী ওই বাসটি। বাঁচার জন্য যাত্রীরা আর্ত চিৎকার শুরু করেন। ওইসময় পর্যন্ত বাসের চালক তৎপর হয়ে কোনওরকমে বাসটিকে ভেসে যাওয়া থেকে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু ক্রমাগত জলের স্রোতে বাসের কিছু অংশ ততক্ষণে ডুবতে শুরু করেছে। ঘটনা দেখে ছুটে যান স্থানীয়রা। স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনে। ওই খরস্রোতা নদীর জলে নেমে স্থানীয়রা বাসের কাছে পৌঁছন। একে একে বাসযাত্রীদের ও চালককে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় সকলকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যদিও বাসটি নদীর জলেই আটকে থাকে বলে খবর।
ওই ঘটনার পর থেকেই মাদারিহাট ও টোটোপাড়ার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। নদীর স্রোতের গতি ও জলস্তর নিয়ন্ত্রণে এলে যোগাযোগ ফের চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্ষায় এই অঞ্চলে বারংবার হড়পা বান দেখা যায়। কিন্তু এদিনের পরিস্থিতি অনেক দিন পর দেখা গেল। প্রশাসনের কাছে স্থানীয়দের আবেদন, এলাকায় স্থায়ী সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এদিনের ঘটনার পর যাত্রীদের সকলেই সুরক্ষিত বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.