দিশা ইসলাম, সল্টলেক: নির্ধারিত ভাড়ার বেশি টাকা চেয়েছিলেন অ্যাপ ক্যাবচালক। মহিলা যাত্রী সেই অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। সেজন্য চালক ওই যাত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরে ওই মহিলা যাত্রী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চালক শাহবাজ আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে ওই যাত্রী ও তাঁর পরিবারের। ঘটনায় শহরের অ্যাপ ক্যাবে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, সন্ধ্যায়। বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরের বাসিন্দা গৃহবধূ শর্মিষ্ঠা ঘোষ ক্যাব(ইন ড্রাইভ) বুকিং করেছিলেন। তিনি সল্টলেকের ডিএফ৯ এলাকায় যাচ্ছিলেন। ক্যাব বুকিংয়ের সময়ই ১৬০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছিল। ওই গৃহবধূ গাড়িতে ওঠার পর প্রথম দিকে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পরে চালক শাহবাজ আলি আরও টাকা দাবি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। বলা হয়, কেবল নির্ধারিত ভাড়া দিলেই চলবে না। অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। কিন্তু সেই অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন ওই গৃহবধূ। চালক ও যাত্রীর মধ্যে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে বচসাও চলে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, ওই যাত্রীকে তাঁর গন্তব্যের আগেই রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাই নিয়ে বচসা চলার মধ্যেই যাত্রীর উপর মারমুখী হয়ে ওঠেন ওই চালক। দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় ওই গৃহবধূর মহিলার হাত মুছড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মহিলার পেটেও সজোরে লাথি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর গাড়ি নিয়ে চলে যান ওই অভিযুক্ত। পরে উত্তর বিধাননগর থানায় ওই নিগৃহীতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত ওই চালকের খোঁজ শুরু করে। চালক শাহবাজ আলির বাড়ি নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা। সেখান থেকেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ওই চালকের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই সল্টলেক এলাকায় এক অটোচালকের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক প্রৌঢ়া। একটি ১০ টাকার নোট ছেঁড়া থাকার ঘটনা নিয়ে বচসা হয়েছিল অটোচালকের সঙ্গে ওই যাত্রীর। অভিযোগ, ওই অটোচালক তাঁকে মারধর করেন। ২০ মিটার হিঁচড়ে ওই যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দাঁত ভাঙে ওই যাত্রীর। শরীরের একাধিক জায়গাতেও চোট-আঘাত লাগে বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.