গোবিন্দ রায়: আদালতে জোর ধাক্কা খেলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর চিৎপুর থানার FIR খারিজের আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, তদন্ত চলবে। তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে মিঠুনকে। তবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাবে না বিজেপি নেতাকে। ৩ সেপ্টেম্বর মামলার কেস ডায়েরি তলব বিচারপতির।
সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন তাঁরই প্রাক্তন সচিব ও তাঁর স্ত্রী। মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও তাঁর এক ঘনিষ্ঠ ও পেশায় আইনজীবী বিমান সরকারের বিরুদ্ধেও ওই দম্পতি উত্তর কলকাতার চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারকা তথা বিজেপি নেতার প্রাক্তন সচিব সুমন রায়চৌধুরীর অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন। অভিনেতা ও বিমান সরকার তাঁকে একটি হোটেলের ইন্টেরিয়র ডেকরেশনের কাজ দেন। প্রথম দফায় তিনি কাজের জন্য টাকা পেলেও পরের দফায় তাঁকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখন সুমন স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে টাকা সংগ্রহ করেন। ওই টাকা দিয়ে কাজও শেষ করেন তিনি। কিন্তু ওই অংশের কাজ সংক্রান্ত কোনও নথি ছিল না তাঁদের কাছে।
পুলিশের কাছে সুমন ও তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, ওই কাজ বাবদ মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে তাঁরা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পান। কিন্তু সেই টাকা তাঁদের দেওয়া হয়নি। সুমনের স্ত্রী-ও স্বামীর হয়ে টাকা চাইতে গেলে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। এর পরই ওই দম্পতি চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই অভিযোগ খারিজের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.