Advertisement
Advertisement
Calcutta HC

সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ, সার্ন প্রকল্পে যুক্ত অধ্যাপককে গবেষণার অর্থ দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ কোর্টের

৯ আগস্টের মধ্যে গবেষণার টাকা অধ্যাপকের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Calcutta HC order Center to give research money to the 'suspended' professor involved in CERN

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 30, 2024 1:48 pm
  • Updated:July 30, 2024 3:17 pm   

গোবিন্দ রায়: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মানস মাইতিকে তাঁর গবেষণার কাজে অবিলম্বে টাকা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ‘প্রেস্টিজিয়াস সার্ন প্রজেক্ট’ অর্থাৎ ইউরোপের ‘সার্নে’ ঈশ্বরকণা নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি মানসবাবুকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

Advertisement

একদা সাসপেন্ড হওয়ায় ওই গবেষকের তহবিলে গবেষণার জন্য টাকা পাঠানোও বন্ধ করে দেয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। পরে আদালতের নির্দেশে সাসপেনশন উঠে যায়। তবে সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলেও তাঁর গবেষণার টাকা আসা বন্ধ রয়েছে। এবার কেন্দ্রকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ‌্যাকাউন্টে সেই কাজের জন্য অবিলম্বে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

[আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সুখবর! শীঘ্রই খুলবে উৎসশ্রী পোর্টাল]

আদালত জানিয়েছে, আগামী ৯ আগস্টের মধ্যে গবেষণার টাকা যাতে ওই অধ্যাপকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, সে বিষয়ে বিশ্বভারতী, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপতি সিনহার আরও নির্দেশ, যদি ওই দিনের মধ্যে টাকা না পৌঁছয় তাহলে পরের শুনানিতে বিভাগীয় ও সংশ্লিষ্ট অফিসারদের ভার্চুয়ালি এজলাসে হাজির থাকতে হবে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পদে থাকাকালীন মানসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করেন।

এমনকী, দেশের গবেষণায় সার্নের প্রকল্পে কাজের ডাক আসা সত্ত্বেও সেই কাজে যুক্ত হওয়ার অনুমতি না দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ওই অধ্যাপককে প্রকল্পের কাজ থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তিনি চিঠিও লেখেন সার্ন কর্তৃপক্ষকে। ২০২২ সালের ওই ঘটনায় অধ্যাপক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত ওই অধ্যাপকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। তিনি যাতে সার্ন প্রকল্পে যুক্ত হতে পারেন সেই পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেয় আদালত। এতদিনেও সেই জট পুরোপুরি কাটেনি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ