Advertisement
Advertisement
Calcutta HC

আস্থা নেই সিবিআইতে! খেজুরিতে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর তদন্তভার CID-র হাতে দিল আদালত

২৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিআইডি-কে রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে।

Calcutta HC orders CID to probe death case of BJP workers at Khejuri, not CBI

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 26, 2025 12:27 pm
  • Updated:August 26, 2025 1:58 pm   

গোবিন্দ রায়: আস্থা নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে। খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার রায়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সাফ নির্দেশ, সিবিআই নয়, সিআইডি-ই এই মামলার তদন্ত করুক। ডিআইজি পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করবেন এডিজি, সিআইডি। সিআইডির হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরাও থাকবেন সিটে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। ওইদিনই পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

এই মামলার তদন্ত যে সিআইডি-কে দেওয়া হবে, তার প্রাথমিক ইঙ্গিত ছিলই। সোমবার এই সংক্রান্ত শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে রীতিমতো তুলোধোনা করেন। তাঁর মন্তব্য ছিল, সিবিআই গ্যালারি শো করছে। ওইদিন মামলাকারী দাবি করে বলেছিলেন, “সিবিআই তদন্ত চাইছি। আমাদের রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই।” তা শুনে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এখন সিবিআই গ্যালারি শো করছে। পরে এনিয়ে পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। এরপরই তিনি কার্যত ঘোষণা করেছিলেন, ডিআইজি, সিআইডির তত্ত্বাবধানে একটি দল গঠন করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। মঙ্গলবার সেই রায়ই দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

যে মামলার তদন্তভার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে এত টানাটানি, তা খানিকটা এরকম। চলতি বছরের ১১ জুলাই, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বছর তেইশের সুজিত দাস এবং পঁয়ষট্টি বছর বয়সি চন্দ্র পাইকের মৃত্যু হয়। সুজিত পূর্ব ভাঙনমারি গ্রামের বাসিন্দা। চন্দ্র ঝাঁটিহারির বাসিন্দা। খবর পেয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খেজুরি থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দেরও একই দাবি ছিল। তাঁরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি হ্যালোজেন লাইট খুলে পড়ে দুই ব্যক্তির উপর। তার জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন দুজন। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল, ওই ব্যক্তিদের পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, মৃতদেহগুলিতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাই তার যথাযথ তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। হাই কোর্টের রায়ে সেই মামলার তদন্তভার পেল সিআইডি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ