Advertisement
Advertisement
Calcutta High Court

SSC বিজ্ঞপ্তিতে অযোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বারণ নয় কেন? কমিশনকে প্রশ্ন হাই কোর্টের

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।

Calcutta HC questions SSC on allowing tainted in fresh recruitment
Published by: Suhrid Das
  • Posted:July 1, 2025 12:55 pm
  • Updated:July 1, 2025 12:55 pm   

গোবিন্দ রায়: এসএসসি পরীক্ষার নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত অযোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে স্পষ্ট বারণ করা হল না? সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। এই বিষয়ে রাজ্য ও কমিশনকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্য ও কমিশনকে সেই বিষয়ে জানাতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল আদালত। এদিন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি যায়। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়। সেজন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে কমিশনের তরফে মে মাসের শেষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। সেই হিসেবে জুন মাসের শুরুতেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই এবার কমিশনকে নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। পুরনো বিধি মেনে পরীক্ষা হবে। সেই কথা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল। তাহলে কেন নতুন বিধি করা হল? সেই প্রশ্ন ওঠে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে সেই শুনানিতে এই বিষয়ে রাজ্য ও কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। সেক্ষেত্রে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বারণ করা হল না? সেই প্রশ্ন এদিন বিচারপতি তুলেছেন? রাজ্য ও কমিশনকে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানাতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি জারির পরে লুবানা পারভিন হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। মামলাকারীর দাবি ছিল, ৪৪ হাজার নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ও রুল প্রকাশ করা হয়েছে তা অবৈধ। বয়সের ছাড় থেকে অভিজ্ঞতার নম্বর, সব ক্ষেত্রে নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই তাঁর দাবি। প্রসঙ্গত, এসএসসির আগের বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫ নম্বর। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ে ক্ষেত্রে নম্বর ছিল ১০। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এখানে ২৫ নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে যোগ করা হয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এ। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং পড়ানোর দক্ষতার জন্য অতিরিক্ত ২০ নম্বর থাকছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য আগের মতোই ১০ নম্বর থাকছে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ