গোবিন্দ রায়: বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্তায় উদ্বিগ্ন কলকাতা হাই কোর্ট। বাংলায় কথা বললে কেন বের করে দেওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের জবাব তলব করলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। আগামী ২৩ জুলাই দুপুর দু’টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই কেন্দ্রের জবাব তলব করা হয়েছে।
বুধবার হাই কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগপ্রকাশ করে বলেন, “দিল্লির ঘটনা ভয়ংকর। আমরা তদন্ত করে দেখেছি। ওঁরা এখানে থাকত। আমাদের স্বরাষ্ট্রসচিব এবিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।” অবশ্য দিল্লি পুলিশের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানান, ওরা স্বীকার করেছে তারা এদেশের নাগরিক নয়। যদি বাংলাদেশে যান তাহলে কীভাবে হেবিয়াস কর্পাস মামলা? দিল্লি আদালতে এই পরিবার আলাদা মামলা করেছে। সে কথা গোপন করেছে, শুধু এই কারণে মামলা খারিজ হওয়া দরকার। এখানে কেউ জন্ম নিলেই সে এদেশের নাগরিক বলে গণ্য হয় না। পহেলগাঁও হামলা ও বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের পর এমন বহু মানুষকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বহু মানুষকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এরপর রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, “দিল্লি আদালতে আপনারা মামলা করেছেন সেটা কেন জানাননি? এটা কি ধরণের আচরণ? পরিবারের অন্য কেউ গিয়ে মামলা করেছেন। আর এখানে বলছেন কিছু জানি না।” সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর প্রশ্ন, “গোটা দেশ জুড়ে একই সময়ে কেন দেশের বাইরে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হল? এই অভিযোগ কেন, বাংলায় কথা বললেই তাদের বের করে দেওয়া হচ্ছে? এটা খোঁজ নিন। আমরা সমাধান খুঁজতে চাই। আগামী ২৩ জুলাই কেন্দ্রের জবাব তলব করেছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ জানালে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন। হেনস্তার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.