Advertisement
Advertisement
Calcutta HC

খেজুরিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলা: IO-র ভূমিকায় প্রশ্ন হাই কোর্টের, রাজ্যের জবাব তলব

আগামী সোমবারের মধ্যে সমস্ত নথি পেশ করার নির্দেশ হাই কোর্টের।

Calcutta HC seeks details report from CID in BJP leaders death case

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 8, 2025 2:20 pm
  • Updated:September 8, 2025 2:27 pm  

গোবিন্দ রায়: খেজুরিতে দুই বিজেপির কর্মীর মৃত্যু মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে তদন্তকারী আধিকারিক। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের সময় বারবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করার অভিযোগ ওঠে IO-র বিরুদ্ধে। তাতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তকারী আধিকারিকের ফোন কল রেকর্ড পরীক্ষা করে সোমবার রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। তাতে উল্লেখ, ময়নাতদন্তের আগে এবং পরে একাধিকবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করেছিলেন। পুলিশের এই রিপোর্টে বিস্মিত হন বিচারপতিরা। তাঁদের প্রশ্ন, তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। কী কারণে এতবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করেছিলেন IO? যদিও পুলিশের এই রিপোর্টের বিরোধিতা করেছে সিআইডি। তাদের দাবি, উভয়ের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে কোনও সন্দেহজনক কথোপকথন পাওয়া যায়নি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

গত জুলাই মাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দুই বিজেপি কর্মী চন্দ্র পাইক ও সুজিত দাসের। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁদের পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত হয় তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেসময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিকের মধ্যে কথোপকথন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশেই তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ওই ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এবং IO-র ফোন কলের বিস্তারিত পরীক্ষা করা হয়। সোমবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির বেঞ্চে। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে ময়নাতদন্তের আগে এবং পরে একাধিকবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করেছিলেন তদন্তকারী অফিসার। তাতেই বিচারপতিদের প্রশ্ন, ফোন করার কারণ কী ছিল?

যদিও সিআইডি পুলিশের এই রিপোর্টের উলটো কথাই জানিয়েছে আদালতে। মোবাইলের কললিস্ট আদালতে পেশ করে তদন্তকারীরা জানান, সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। একই বক্তব্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলেরও। তাতে বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে এই কথা বলা হচ্ছে? কোনও তথ্যপ্রমাণ আছে কি? এজি জানান, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য নেই। তবে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকে ওই সময় ফোন করেননি। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। একথা শুনে বিচারপতিরা বিরক্ত হয়েই জানতে চান, ”আপনারাই বলুন কতদিন সময় লাগবে।” আদালত নির্দেশ দেয়,সমস্ত বিস্তারিত তথ্য সোমবারের মধ্যে জমা দিতে হবে। ওইদিনই পরবর্তী শুনানি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement