গোবিন্দ রায়: সোম রাতের বৃষ্টিতে জমা জলে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৯ জনের। সেই ঘটনায় এবার রাজ্য, কলকাতা পুরসভা ও CESC’র কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানেই সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
প্রতিপদের রাতের প্রবল বৃষ্টিতে মঙ্গলবার যাদবপুর, পার্কসার্কাস, তারাতলা, একবালপুর, ভবানীপুর-সহ সর্বত্র ছিল জলে টইটম্বুর। এই জমা জলই মৃত্যু ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মোমিনপুর, নেতাজিনগর, ঠাকুরপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় মোট মৃত্যু হয় ৯ জনের। সেই ঘটনায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য, তা জানাতে হবে রিপোর্টে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে পুরসভাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানাতে হবে CESC- কে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে শহরে জমা জলে খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ক্ষত এখনও টাটকা। পুজোর কয়েকটা দিন ফের শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফের যাতে বৃষ্টিতে বিপর্যয় না হয়, তাই তৎপর পুলিশ। পুজোয় প্রত্যেক পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে রেনকোট ও পর্যাপ্ত ছাতা নিয়ে ডিউটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, তৃতীয়ার রাত থেকেই ভিড় সামলাতে তিলোত্তমার পথে নামছে পুলিশ। পুজোয় যদি বৃষ্টিতে জল জমে, তা তাড়াতাড়ি সরানোর জন্য ওয়ার্ড স্তরে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে থানাগুলির তরফে। কীভাবে যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হবে, তার জন্য স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছে ট্রাফিক পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.