Advertisement
Advertisement
Calcutta High Court

শংকর ঘোষ এবং খগেন মুর্মুর উপর কেন হামলা? এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা হাই কোর্টে

সিবিআই তদন্ত চেয়ে এদিন আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

Case filed in calcutta high court demanding NIA investigation in attack on khagen murmu
Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 9, 2025 11:47 am
  • Updated:October 9, 2025 12:16 pm   

গোবিন্দ রায়: শংকর ঘোষ এবং খগেন মুর্মুর উপর কেন হামলা? এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানান আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। এরপরেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। আইনজীবীর দাবি, কেন এই ঘটনা তা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএকে তদন্তের আবেদন জানান তিনি। 

Advertisement

অন্যদিকে সিবিআই তদন্ত চেয়ে এদিন আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। এফআইআরকারী নিজেই এই মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। নাগরাকাটায় বিজেপি নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় এই নিয়ে দুটি মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্র এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। এখন দেখার মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায়।

প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় নাগরাকাটায়। একাধিক জায়গায় প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে। তাঁদেরকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। ইটের আঘাতে আহত হন দুই বিজেপি নেতাই। শুধু তাই নয়, একেবারে রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয় বিজেপি সাংসদের। জানা যায়, ইটের আঘাতে তাঁর চোখের নিচে হাড় ভেঙেছে। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে খগেন মুর্মু চিকিৎসাধীন থাকলেও ছাড়া পেয়েছেন শংকর ঘোষ।

ঘটনার পরেই আক্রান্ত খগেন মুর্মুকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বুধবার কলকাতায় ফিরেই উত্তরবঙ্গের দুর্গত এলাকায় গিয়ে খগেন মুর্মুর আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্য কারণ নিয়েও এদিন সন্দেহ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, সেটা তো বিজেপির এলাকা। এমপি, এমএলএ সবই বিজেপির। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম! এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয় তো?”

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “বন্যা বা দাঙ্গার মতো পরিস্থিতিতে এমন ক্ষোভ হতেই পারে। কারণ, ঘর বাড়ি হারিয়ে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না। তবে তদন্ত চলছে। কেউ ছাড় পাবে না। এভাবে ৩০-৪০টা গাড়ি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে দুর্গত এলাকায় ঢুকে পড়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? আগে তো মানুষকে উদ্ধার করতে হবে! লোক দেখানো কনভয়ে কী হবে?”

ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এর মধ্যেই এবার মামলা গড়াল হাই কোর্টে। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ