গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যে শিশুশ্রম প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে এই কথাই জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। আজ, শুক্রবার বিধানসভায় একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই শিশুশ্রম প্রসঙ্গে কথা ওঠে। সেই বিষয়েই বার্তা দিলেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বাংলা। জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্প বন্ধ হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে শিশু শ্রমিকরাও। সেই কথাও জোরালোভাবে শ্রমমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন। এদিন তিনি শিশুশ্রম বিষয়ে একাধিক তথ্যও তুলে ধরেছেন।
বিধায়ক অসিত মজুমদার এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এদিন একাধিক বার্তা দিয়েছেন। শিশুশ্রম নির্মূলের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে। সেই কথাও মন্ত্রী জানান। বাংলায় শিশুশ্রমিক প্রায় নির্মূল হয়েছে। সেই কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিশু ও কিশোর শ্রমনিরোধক আইনের আওতায় নিয়মিত অভিযান চলে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মালিকপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নের সহায়তায় সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।” প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সুফল মিলছে বলে মন্ত্রী জানান। শুধু তাই নয়, এই কাজে বিধায়কদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বানও তিনি করেন।
শিশুশ্রমিক উদ্ধারের বিষয়ে এদিন তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী। মলয় ঘটক জানান, ২০২০ সালে বাংলায় ১৪ জন শিশুশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছরই সেই সংখ্যা কমেছে। ২০২১ সালে শিশুশ্রমিক উদ্ধার হয়েছিল ৬ জন। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ১। এদিন বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকেও নিশানা করেছেন শ্রমমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বাংলার শিশুশ্রমিকরাও। জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্প রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২১ সালে কেন্দ্র এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। তার আগে রাজ্যে ২৯০টি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু ছিল। সেখানে ১১,১২১ জন শিশুর পড়াশোনা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছিল। প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কাজ হারিয়েছেন শিক্ষকরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.