প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনে দোষী সিভিক ভলান্টিয়ারকে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছিলেন। এবার শিয়ালদহ আদালতের সেই বিচারক অনির্বাণ দাস চিৎপুরের বৃদ্ধ দম্পতি খুনে শোনালেন ফাঁসির সাজা। খুনের ১০ বছরের মধ্যে বুধবার সাজা ঘোষণা করলেন তিনি। দোষী সঞ্জয় সেনকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। খুনের ঘটনাটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেন সরকারি আইনজীবী।
বুধবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক সরকারি আইনজীবীকে বলেন, নিহত বৃদ্ধ দম্পতি দোষীকে সন্তানস্নেহ করতেন। খুবই বিশ্বস্ত ছিল সে। তাই প্রায়শয়ই তার বাড়িতে আসাযাওয়া ছিল। সঞ্জয়কে একসময় আর্থিক স্বাবলম্বী হতে রিকশা কিনে দিয়েছিলেন। তারপরেও নৃশংসভাবে সে খুন করে বৃদ্ধ দম্পতি। এই ঘটনায় ফাঁসির সাজা না হলে সমাজ থেকে বিশ্বাস হারিয়ে যাবে। তাই তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। একথা শোনার পর সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই, চিৎপুরের বাসিন্দা প্রাণগোবিন্দ দাস এবং রেণুকা দাস নিজেদের ফ্ল্যাটে খুন হন। তাঁরা দু’জনেই অধ্যাপনা করতেন। পেনশনভোগী বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করে সঞ্জয় সেন ওরফে বাপ্পা। তারপর সে গা ঢাকা দেয়। পালিয়ে যায় নন্দীগ্রামে। দিনকয়েক পর সেখান থেকে কলকাতায় চলে আসে। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে লোহার পাইপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই পাইপ দিয়ে মেরে মাথা থেঁতলে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করা হয়। তারপর নগদ টাকা এবং গয়নাগাটি লুট করে পালায় সঞ্জয়। ওই টাকা এবং গয়নাগাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার বছর দশেক পর সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.