অর্ণব আইচ: বেলেঘাটা পুলিশ এবং নয়ডা পুলিশের মধ্যে ‘সংঘাত’। তালা ভাঙা নিয়ে ‘সংঘাত’ গড়াল আদালত পর্যন্ত। আজ বুধবার বেলেঘাটায় বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে যায় নয়ডা থানার পুলিশ। কিন্তু ফ্ল্যাটের চাবি না পাওয়ায় তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সে রাজ্যের পুলিশ। কিন্তু তাতে বেলেঘাটার পুলিশ ‘বাধা’ দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী শিয়ালদহ কোর্ট থেকে অনুমতি আনতে হবে বলেও নয়ডা পুলিশকে জানান বেলেঘাটার থানার আধিকারিকরা। এরপরেই শিয়ালদহ আদালতের দ্বারস্থ হয় নয়ডা থানার পুলিশ।
মামলার শুনানিতে শিয়ালদহ আদালত মৌখিকভাবে জানায়, ‘এই অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার এই আদালতের নেই। সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে পুলিশ তল্লাশি চালাতেই পারে।” এক্ষেত্রে পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক বলেন, ”কোনও আসামী যদি ভিতরে থাকে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ধরার ক্ষেত্রে কোর্টের অনুমতি আপনারা নেন?” কার্যত পুলিশকেই ভর্ৎসনা আদালতের। যদিও এদিন নয়ডা পুলিশ আদালতে জানায়, ”বিভাস অধিকারীর অফিসে তল্লাশি চালানোর অনুমতি রয়েছে নয়ডা আদালতের।” তবে এক্ষেত্রে শিয়ালদহ আদালত পালটা জানায়, ”একান্তই যদি বেলেঘাটা থানা তালা ভাঙতে আপত্তি জানায় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তালা ভাঙার অনুমতি আনতে পারে নয়ডা পুলিশ।”
কিন্তু কেন ‘সংঘাতে’র পরিস্থিতি তৈরি হল? ভুয়ো থানা খুলে প্রতারণার অভিযোগে বিভাস অধিকারীকে গ্রেপ্তার করে নয়ডা থানার পুলিশ। শুধু বিভাসই নয়, গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ছেলে সহ আরও বেশ কয়েকজনকে। বেলেঘাটার থানার সামনেই সেই অফিস খোলা হয়। সেই সংক্রান্ত মামলার সূত্রেই এদিন নয়ডা থানার পুলিশ স্থানীয় থানাকে নিয়ে বেলেঘাটার ওই ফ্ল্যাটে হানা দেন। সেখানে সংঘাতের সূত্রপাত।
দেখা যায়, ফ্ল্যাটের তালা বন্ধ! কিন্তু চাবি কোথায়? সেখানে উপস্থিত বেলেঘাটা থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানায়, চাবি তাঁদের কাছে নেই। যদিও নয়ডা পুলিশের দাবি, চাবি সংশ্লিষ্ট এই থানার কাছেই আছে। এরপরেই তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় নয়ডার পুলিশ। যা নিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে ‘সংঘাতে’র পরিস্থিতি তৈরি হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.